International

অলস খোঁজার প্রতিযোগিতা মন্টেনেগ্রোর ব্রেজনা গ্রামে

সেরা অলসের তকমা পেতে শুয়ে আছেন প্রতিযোগীরা

বিশ্বজুড়ে কত প্রতিযোগিতাই না হয়। তবে অলস খুঁজতে প্রতিযোগিতার আয়োজন নিশ্চয়ই স্বাভাবিক কিছু নয়। যদিও এমনটাই ঘটেছে মন্টেনেগ্রোর ব্রেজনা গ্রামে। ১২ বছর ধরে সেখানে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

আমোদ–প্রমোদের জন্য ব্রেজনা গ্রামটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। সেখানেই একটি ঘরে মাদুর পেতে শুয়ে থাকেন প্রতিযোগীরা। যিনি সবচেয়ে বেশিক্ষণ এভাবে শুয়ে থাকতে পারবেন, তিনিই ‘দেশসেরা অলস’ তকমা পাবেন।

গত বছর আলসেমিতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন এক প্রতিযোগী। টানা ১১৭ ঘণ্টা শুয়ে থেকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

চলতি বছরে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল ২১ জনকে নিয়ে। সব শেষ টিকে আছেন সাতজন। তবে এবারের প্রতিযোগীরা যেন আরও একরোখা। গত বৃহস্পতিবারই তাঁদের শুয়ে সময় কাটানোর ২০তম দিন পার হয়েছে। এ সময় মোট শুয়ে ছিলেন ৪৬৩ ঘণ্টা। এরপরও থামতে চান না তাঁরা।

প্রতিযোগিতাটির শুরু কীভাবে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। এ নিয়ে আয়োজক রাদোনজা ব্লাগোজেভিক বলেন, মন্টেনেগ্রোর মানুষ অলস বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। তা নিয়ে মজা করতেই ১২ বছর আগে এই প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন প্রতিযোগীদের শুধু শুয়ে থাকতে হবে। কেউ বসলে বা দাঁড়ালে তাঁকে প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দেওয়া হবে। শুধু প্রতি আট ঘণ্টায় একবার টয়লেটে যাওয়া যাবে, তা–ও মাত্র ১০ মিনিটের জন্য। তবে শুয়ে থাকার সময় প্রতিযোগীরা মুঠোফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন। সেরা অলসকে খেতাবের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে এক হাজার ইউরোও (প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা)।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button