অসহনীয় তাপমাত্রা মানুষের গুনাহের শাস্তির সতর্ক সঙ্কেত
অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি ও অসহনীয় তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার ক্রোধের বহি: প্রকাশ। মানুষের অপকর্ম, অপরাধ ও গুনাহের শাস্তির সতর্ক সঙ্কেত। যাতে মানুষ সর্বপ্রকার গুনাহের কাজ পরিহার করে আল্লাহর হুকুম পালনে আগ্রহী হয়। আসুন! বিরাজমান অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও অনাবৃষ্টির বিপর্যয় থেকে মুক্তির জন্য তওবা ইস্তিগফার করি। আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করি। আল্লাহ তায়ালাই রহমতের বৃষ্টি নাযিল করে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দূর করে দিবেন। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম এসব কথা বলেন।
মীরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি ও অসহনীয় তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার ক্রোধের বহি: প্রকাশ। মানুষের অপকর্ম, অপরাধ ও গুনাহের শাস্তির সতর্ক সঙ্কেত। যাতে মানুষ সর্বপ্রকার গুনাহের কাজ পরিহার করে আল্লাহর হুকুম পালনে আগ্রহী হয়। বান্দার গুনাহের কাজ পরিহার ও নেক আমলের বদৌলতে আল্লাহ তায়ালা আসমান থেকে রহমতের বৃষ্টি নাযিল করে মৃত জমিনকে উর্বর করেন। আর আসমান ও জমীনের বারাকাত সমূহ বান্দার উপকারে উন্মুক্ত করে দেন । আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, জলে স্থলে যে বিপর্যয় আসে তা মানুষের নিজেদের হাতের কর্মফল। (আল কুরআন )। আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ করেন, জনপদের অধিবাসীরা যদি আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন এবং তাকওয়া অবলম্বন পূর্বক গুনাহের কাজ পরিহার করত তাহলে আমি আসমান ও জমীন বারাকাত সমূহ নাযিল করে দিতাম । তিনি আরও বলেন, আল্লাহ তার পক্ষ থেকে বৃষ্টির সু সংবাদ হিসাবে ঠান্ডা বাতাস প্রেরণ করেন এবং আসমান থেকে পবিত্র পানি তথা বৃষ্টি বর্ষণ করেন । (সূরা ফুরকান, আয়াত নং ৪৮ ও ৪৯)। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হে মুহাজিরগণ পাঁচ কারণে জমীনে বিপর্যয় আসে, আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ হয়না । তাহল মানুষের গুনাহ যিনা ব্যভিচার, দুর্নীতি দু:শাসন, অঙ্গীকার ভঙ্গ, মাপে কম দেয়াও সঠিক ভাবে যাকাত আদায় না করা। তিনি আরও বলেন, যদি পৃথিবীতে অবলা জন্তু ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুরা না থাকতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনও আসমান থেকে বৃষ্টি নাযিল করতেন না । (বায়হাকী ইবনে মাজা শরীফ, হাদীস নং ৪০১৯, হাদিসের মূল বক্তব্য)। অতএব আসুন! বিরাজমান অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও অনাবৃষ্টির বিপর্যয় থেকে মুক্তির জন্য তওবা ইস্তিগফার করি। আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করি। আল্লাহ তায়ালাই রহমতের বৃষ্টি নাযিল করে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দূর করে দিবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে মাফ করে দেন। আমিন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিন আজ জুমার খুৎবাহ পূর্ব বয়ানে বলেন, সামাজিকভাবে আমরা নানা পাপে জর্জরিত। সর্বদিক থেকে আল্লাহর রোষানলে পড়ছি আমরা। ধর্ম বর্ণ সকল অসহায়কে দান করতে হবে। বেশি বেশি ছদকাহ করে তওবাহ করতে হবে। রাসূল (সা.) বলেছেন, ছদকাহ দিলে বালা মুসিবত দূর হয়। ছদকায়ে জারিয়া হিসেবে সারাদেশে গাছ লাগাতে হবে। ছায়াদান গাছ না কাটার নির্দেশ রয়েছে ইসলামে। খতিব বলেন, ইসতেস্কার নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি চাইতে হবে। খতিব বলেন, মানুষকে কষ্ট দেয়া যাবে না। বিদায় হজের ভাষণে রাসূল (সা.) মানবতার কথা বলে গেছেন। আইনকে হাতে নিয়ে কাউকে মানুষ হত্যার কোনো অধিকার দেয়া হয়নি। যারা দেশে অশান্তির লক্ষ্যে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁদে পা’ না দিয়ে আমরা সংযত থাকবো। অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। খতিব বলেন, যারা হজে যাবেন তাদেরকে হজে মাসলা মাসায়েল জেনে যেতে হবে। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন। আমিন।
ঢাকার মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমের খতিব মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান জুমার খুৎবাপূর্ব বয়ানে বলেন, অনাবৃষ্টি, খরা, সাইক্লোন, টর্নেডো, ভূমিকম্প আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্নি উৎপাত ইত্যাদির প্রাকৃতিক কারণ যাই হোক না কেন, সেই প্রকৃতির প্রকৃত নিয়ন্তা সর্ব শক্তিমান আল্লাহ। এসব হচ্ছে আল্লাহর গজবের হুঁশিয়ারী সত্য। সুতরাং পৃথিবীর কোন অঞ্চলে এসব দেখা গেলে সতর্ক হতে হবে, তাওবা-ইস্তেগফার করতে হবে, আল্লাহর পথে ফিরে আসতে হবে।
খতিব বলেন, মানব জাতির পাপের কারণে অতীতে এর চেয়ে ভয়াবহ ঘটনা অনেক ঘটেছে। ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে যার নিদর্শন কোথাও কোথাও এখনও বিদ্যমান। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীব’কে উদ্দেশ্য করে কুরআনুল কারীমে বলেন : “ আপিন বলুন, তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমন কর অতঃপর দেখ, যারা সত্যকে অস্বীকার করেছে তাদের পরিণ াম কি হয়েছিল (সূরা আনআম : ১১)”। “তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমন করে না? তাহলে দেখত যে, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে। শক্ততে তারা ছিল ওদের চেয়ে প্রবল (সূরা রূস : ০৯)। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বার বার অতীত ইতিহাস তুলে ধরে বলেছেন, তোমরা হুঁশিয়ার হও, সাবধান হও, পথে ফিরে এসো নইলে তোমাদের প্রতিও সেই আচরণ করা হবে, যা করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তী সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের সাথে। কওমে নূহ, কওমে আদ, সামুদ, কওমে লুত, আসহাবে উখদুদ, আসহাবে ফীল প্রভৃতি কওম; নমরুদ, সাদ্দাদ, ফেরাউন, আবরাহা, আবু জাহেল ইত্যাদি কওম এবং প্রবল প্রতাপাবিত, দাম্ভিক ঐসব খোদাদ্রহীদের পরিণতি কী হয়েছিল? তারা কি শেষমেশ ধ্বংস হয়ে যায়নি? নিক্ষিপ্ত হয়নি কি ইতিহাসের আস্তাকুড়ে?
আল্লাহ সর্ব শক্তিমান। তাঁর কোন প্রস্তুতি নেবার প্রয়োজন নেই। তিনি যা এরাদা বা ইচ্ছা করেন তা হতে বললেই হয়ে যায়। সুতরাং তাঁর সমীপে পূর্নাঙ্গ আত্মসমর্পন করতে হবে। যে সর্ব শক্তিমান আল্লাহ আমাদের মত সাধারণ তাপমাত্রার দেশে ৪২⁰ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা দিলেন, তিনি কি পারেন না আরো ৫⁰/১০⁰ ডিগ্রী বাড়িয়ে দিতে? আবার এই সময়ই আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তির দেশ, চাঁদে যারা গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে সেই চীনের ওয়াংডং প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি করলেন, আরব আমীরাতের দুবাই বিমান বন্দর অচল করে দিলেন আরও প্রবল বৃষ্টি ঝড়িয়ে, তিনি কি পারেন না গোটা আরব জাহানের মরুভূমি অঞ্চলকে আরও প্রবল বৃষ্টি ঝরিয়ে নূহের বন্যার মত প্রবল বন্যা সৃষ্টি করতে? ঐ বন্যার সূচনাতো মরুভূমির দেশে থেকেই শুরু হয়েছিল। দুনিয়ার জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে সর্বশ্রেষ্ট দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাঞ্চলকে তীব্র তাবদাহে অগ্নি জ্বালিয়ে যিনি ছাই করে দিতে পারেন, তিনি কি মুহূর্তের মধ্যে গোটা দুনিয়াকে অগ্নিকুন্ডে পরিণত করতে পারেন না? সাগর তলদেশে সম্প্রতি আবিস্কৃত আট বছর আগে নির্মিত এক শহরকে যেমন বিধ্বংস, বিদ্ধস্ত করে দিয়েছেন, বিশ্বের তামাম শহর বন্দরকে পারেন না কি তেমন ধ্বংস, বিধ্বংস করে দিতে? কওমে লুতের কোলাহলপূর্ণ জনপদকে উল্টিয়ে দিয়ে যিনি বানিয়ে দিছেন ডেড’সি, নমরুদ ও তার হস্তি বাহিনীকে অতি ক্ষুদ্র মশাক দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন যিনি, এমনি আরো বহু ঘটনো মালিক যিনি, পূর্ণ শক্তি, পূর্ণ ক্ষমতা, পূর্ন শান শওকাত, তিনি যেমন বিদ্যমান ছিলেন, বিদ্যমান আছেন ও বিদ্যমান থাকবেন, তার জড়া নেই, নিদ্রা নেই, মৃত্যু নেই। তিনি অজড়, অমর। তাঁর সন্তুষ্টি ছাড়া রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই, বাঁচার উপায় নেই। তিনি ক্রোধান্বিত হলে সব ধ্বংস হবে। তিনি চাইলে আবার এক নয়া দুনিয়া গড়ে নিবেন। তিনি কারো মুখাপেক্ষি নন, দুনিয়ার তাতাম সৃষ্টি তাঁর মুখাপেক্ষি। তাই আসুন তাঁর কাছে পূর্ণ আত্মসমর্পন করি, তাওবা করি, তাঁর রহমত প্রার্থনা করি। আল্লাহ আমাদের তাওফিত দান করুন। আমিন।
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর সরকার বাড়ী ঈদগাহ মসজিদুল আকসা’র খতিব মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম মল্লিক জুমার নামাজ পূর্ব বয়ানে বলেন, পবিত্র কোরআনে সূরা নুহ ১০ও ১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন! তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। হাদিসে তাপদাহকে আল্লাহর ক্রোধ বলা হয়েছে, আল্লাহ কোরআনে বলেন “আমি জীন ও ইনসানকে এক মাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। প্রিয় নবী (সা.) হাদীসে বলেন, আল্লাহ বনী আদমকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য আর সমস্ত মাখলুম সৃষ্টি করেছেন আমাদের খেদমতের জন্য। আল্লাহ তালার ইচ্ছার বাইরে কিছুই হয় না। রোদ বৃষ্টিও তারই রহমত ও কুদরতের প্রকাশ। আল্লাহ বলেন! তিনি আল্লাহ যিনি বাতাস পাঠান এরপর তা মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে এরপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং স্তরে স্তরে রাখে। এরপর তুমি দেখতে পাও যে, তা থেকে বৃষ্টি নেমে আসে। তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা বৃষ্টি পৌঁছান। তখন তারা আনন্দিত হয়। (সূরা রুম:৪৮) বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনার পূর্বে যে নামাজ পড়া হয় তাকে ইসতেস্কার নামাজ বলে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই নামাজ আদায় করা হচ্ছে এরপরেও বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে না, আল্লাহর কাছে তওবা করে ফিরে যাওয়ার পূর্বে বৃষ্টি আসবে না। সূরা রুমের ৪১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন:জলে স্থলে যখন কোনো বিপর্যয় ঘটে তা তোমাদের হাতের কামাই। অতএব আমাদের গোনাহের কারণে প্রকৃতি আমাদের সাথে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করছে। এ কথার একিন করা সঠিক নয়।কারণ গাছ গাছালি, সবুজ বনায়ন যদি তাপদাহ নিয়ন্ত্রণ করে তা হলে আফ্রিকার আমাজান বনাঞ্চল আগ্নেয়গিরি জালিয়ে দিতোনা, মরুভূমির মানুষ – প্রাণি বাচতনা,আমাদের দেশে যেই পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে তার তুলনায় লাগানো হচ্ছে কম। কিন্ত তাপমাত্রা ঠিকই কমে যাচ্ছে। আসুন গোনাহ ছেড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রার্থনা করি। নবী করীম (স.)বলেন: যে গোনাহ করে এবং তওবা করে সে কেমন যেনো গোনাহই করেনি। আমিন।ঠ
দিনাজপুর গোর এ শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, আল্লাহ বিত্তশালী সামর্থ্যবান লোকের উপর নামাজ ও যাকাতের মত হজও ফরজ করেছেন। আর যে সকল রোকনের উপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত, এটি হচ্ছে তার অন্যতম রোকন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা মক্কায় অবস্থিত। যা বরকত ময়, ও সারা জাহানের জন্য দিশারী। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে। যেমন মাকামে ইব্রাহিম। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ। এবং মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সে গৃহের হজ করা তার উপর অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ বিশ্ব জগতের মুখাপেক্ষী নন।( আল কোরআন )রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি স্ত্রী সম্ভোগ ও অন্যায় কার্যাদি থেকে বিরত থেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ আদায় করবে। সে মাতৃগর্ভ থেকে নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে। রাসূল (সা.) আরো বলেন, জান্নাতই হচ্ছে মকবুল হজের একমাত্র পুরষ্কার। আপনারা হজ আদায়ের তাড়াতাড়ি করুন। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে হজ আদায়ের ইচ্ছা রাখে সে যেন তাড়াতাড়ি হজ করে। তাই আসুন বিত্তবান ভাই-বোনেরা হজের ব্যাপারে যতœবান হই। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করেন। আমিন।