অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার রহস্য জানাবে রোবট
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে বিশালাকার বরফের পর্বত গলে যাচ্ছে। এতে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরো পরিস্থিতি জানতে অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচে কাজ করতে সক্ষম আইসনড নামের রোবট তৈরি করেছেন নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে আলাস্কার উত্তরে হিমায়িত বিউফোর্ট সাগরের নিচে রোবটটির কার্যকারিতা পরখ করেছেন তাঁরা।
নাসার বিজ্ঞানী পল গ্লিক জানিয়েছেন, অ্যান্টার্কটিকার চারপাশে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বাড়ার কারণে সেখানকার উপকূলীয় অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে। বরফ গলার হার সঠিকভাবে জানার জন্যই এ রোবট তৈরি করা হচ্ছে। রোবটের সংগ্রহ করা তথ্যের মাধ্যমে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস জানানো কম্পিউটার মডেল উন্নত করার সুযোগ পাবেন বিজ্ঞানীরা।
অ্যান্টার্কটিকায় বিশ্বের বৃহত্তম বরফখণ্ড অবস্থিত। এসব বরফখণ্ড কয়েক মাইল এলাকা ধরে বিস্তৃত। হাজার হাজার বছর ধরে এসব বরফখণ্ড ও হিমবাহ তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অ্যান্টার্কটিকায় ভাসমান বরফখণ্ডের আকার কমে যাচ্ছে। জমাট বরফখণ্ডগুলো সম্পূর্ণ গলে গেলে সমুদ্রতলের উচ্চতা ৬০ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার রহস্য জানতে ২ দশমিক ৪ মিটার লম্বা ও ২৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের নল আকৃতির একাধিক আইসনড রোবট ব্যবহার করা হবে। এসব রোবট সমুদ্রের নিচে চলতে পারায় বিশেষ ধরনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে হিমায়িত পানির বিভিন্ন তথ্য সহজে জানা যাবে।
আইসনড রোবট বরফের নিচে থেকে টানা এক বছর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। গত মার্চ মাসে আলাস্কার উত্তরে হিমায়িত বিউফোর্ট সাগরে রোবটটির পরীক্ষা চলানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০টি আইসনড রোবট সমুদ্র পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।