Science & Tech

অ্যান্টার্কটিকার বৃহত্তম হিমবাহ সরে যাচ্ছে

মার্চ মাসে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, এন্টার্কটিকার বৃহত্তম হিমবাহ ‘রস আইস শেল্ফ’ প্রতিদিন স্থানচ্যুত হচ্ছে। সিআইএ-এর দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক অনুসারে হিমবাহটির আকার প্রায় ১লাখ ৮২হাজার বর্গমাইল, যা প্রায় ফ্রান্সের আয়তনের সমান। রস আইস শেল্ফের স্থানচ্যুতির ফলে ভূমিকম্পের অনুরূপ হিম কম্পন সৃষ্টি হতে পারে এবং এন্টার্কটিকার বরফে ফাটল ধরতে পারে।

আইস শেল্ফের কাজ বরফের পাহাড় এবং বরফের চাঁইগুলোকে ধরে রাখা, অভ্যন্তরীণ বরফ বৃদ্ধি করা, গলতে বাধা দেয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি আটকানো। তবে, এন্টার্কটিকার মুষ্টিমেয় বরফের স্রোতের মধ্যে অন্যতম হুইলান্স আইস স্ট্রীমের চাপে ১০ মিনিটে প্রায় ১৬ ইঞ্চি (৪০ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত বিচ্যুত হতে পারে রস আইস শেল্ফ। এই স্রোত বরফের তাকগুলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বরফ খন্ড এবং টুকরোগুলোকে শেষ পর্যন্ত সমুদ্রে ঠেলে দেয়।

গবেষণাটির প্রধান লেখক ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ডগ উইয়েন্স বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি যে পুরো হিমবাহটি হঠাৎ করে দিনে একবার বা দুবার প্রায় ৬ থেকে ৮ সেন্টিমিটার (২.৪-৩.১ ইঞ্চি) সরে যায়, যা বরফের স্রোতের প্রবাহের কারণে সঞ্চালিত হয়। এই আকস্মিক বিচ্যুতি হিমবাহে বরফের কম্পন এবং ফাটল সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।’

রস আইস শেল্ফের বিচ্যুতিগুলো ১০০ বর্গকিলোমিটার (৬২ বর্গমাইলেরও বেশি) স্রোতের একটি বিশাল অংশ দিয়ে শুরু হয়। পৃথিবীর শীতলতম স্থান অ্যান্টার্কটিকার এই পরিবর্তন বিশ্বের বাকি অংশের জন্য একটি সূচক হিসাবে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে বরফ গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button