অ্যামনেস্টির বিবৃতিকে উদ্দেশ্যমূলক বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনফাইল ছবি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বানকে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট শহরতলির খাদিমনগর ইউনিয়নে দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ইতিমধ্যে দেশের প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার সদস্য পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় শান্তি স্থাপনে সাহায্য করছেন। এখন কিছু সংস্থা মনগড়া তথ্য দিয়েছে। উদ্দেশ্য কিন্তু যেটা বলছে সেটা না। উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ কখনো কাউকে যাচাই–বাছাই না করে শান্তি রক্ষা মিশনে নেয় না। সেদিকে বাংলাদেশ সব সময় সফল থাকে।
এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়ের ল্যাক্রোয়ার প্রতি ঢাকা সফরের আগে বাংলাদেশের বাহিনীগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করার আহ্বান জানায় তারা।
যেসব দেশ উন্নতির দিকে ধাবিত হয় তাদের দাবিয়ে রাখতে দেশি-বিদেশি কিছু শক্তি আগ বাড়িয়ে কাজ করে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, লিবিয়া খুব শান্তির দেশ ছিল, ইরাক খুব শান্তির দেশ ছিল, সিরিয়া খুব শান্তির দেশ ছিল। ওই সব এলাকার মধ্যে উন্নত দেশ ছিল। ওই দেশগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ এখন বিদেশিদের কাছ থেকে ‘অল্প টাকা নেয়’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিরা চায় বাংলাদেশ তাদের কাছে হাত পাতবে, তাদের থেকে সাহায্য নেবে। আর তারা তাদের ইচ্ছেমতো দেশটাকে যাতে পরিচালিত করতে পারে। এ ধরনের অনেক শক্তি আছে। যার কারণে কিছু লোক ভুলবশত সমর্থন দেন। সেই ভুল যাতে না করেন। ভুল করলে ইতিহাস সাক্ষী থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, সরকারের কাজে অভিযোগ থাকতে পারে। সরকারি কোনো কোনো কাজের ক্ষেত্রে অভিযোগ থাকতে পারে। তাই বলে দেশের বিরুদ্ধে শত্রুতা করা ঠিক না। দেশ ধ্বংস করা ঠিক না।