আইনি চ্যালেঞ্জে হেরে গেলেন প্রিন্স হ্যারি নিরাপত্তা ইস্যু

যুক্তরাজ্যে সফরের সময় প্রিন্স হ্যারির জন্য পুলিশি নিরাপত্তা হ্রাসের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ে হেরে গেছেন প্রিন্স হ্যারি। গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হয়। লন্ডনের আপিল আদালতের তিন বিচারকের বেঞ্চ গতকাল তার আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রিন্স হ্যারি এখন সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।
২০২০ সালে রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিন্স হ্যারি। এরপর যুক্তরাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, হ্যারিকে আর আগের মতো সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হবে না, বরং প্রতিটি সফরের ক্ষেত্রে তা পৃথকভাবে বিবেচনা করা হবে। প্রথম মামলায় পরাজয়ের পর হ্যারি আপিল করেন।
তার আইনজীবীরা বলেন, হ্যারিকে ‘অযৌক্তিক ও কম মানের’ নিরাপত্তা দিয়ে অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, হ্যারি ও মেগান নিউ ইয়র্ক সিটিতে পাপারাজ্জিদের দ্বারা বিপজ্জনক গাড়ি তাড়া ও আল-কায়েদার হুমকির মুখোমুখি হয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে পাপারাজ্জিদের তাড়া খেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তার মা প্রিন্সেস ডায়ানা। এ বিষয়টি হ্যারিকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়।
গত বছরের শুরুতে হাইকোর্ট হ্যারির চ্যালেঞ্জ খারিজ করে বলে, সরকারের সিদ্ধান্ত আইনসংগত ছিল। তবে পরে একজন বিচারক হ্যারিকে আপিল করার সুযোগ দেন। সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, হ্যারির নিরাপত্তা কমানোর সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ হলো, তার রাজকীয় অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি এখন অধিকাংশ সময় দেশের বাইরে বসবাস করেন।