আওয়ামী লীগের মিছিলে শটগান নিয়ে যুবক: নেতা বললেন, বড় হওয়ায় হাতে ছিল
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ ঘিরে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ। মিছিলের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম। তাঁর পাশেই আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।
আজ রবিবার দুপুরে স্থানীয় সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ মাঠ থেকে মিছিলটি বের করে আওয়ামী লীগ।
এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালামের মেয়ে ওয়াহিদা হোসেন রূপাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ ছাপিয়ে এলাকায় আলোচনা চলছে মিছিলের সামনে থাকা অস্ত্রধারীকে নিয়ে।
অস্ত্রের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, ‘এই অস্ত্রের লাইসেন্স আছে।
অস্ত্র বড় হওয়ায় হাতেই রাখতে হয়েছে। কাউকে ভয় দেখানোর জন্য অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়নি।’
তিনি প্রতিবেদকের কাছে অস্ত্রের লাইসেন্সের একটি কপি পাঠিয়েছেন। যাতে দেখা গেছে, অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির নাম মো. কামরুজ্জামান। অস্ত্রটির নাম ১২ বোর শটগান। কামরুজ্জামান পেশায় জাহিদ হাসান প্রীতমের নিরাপত্তাকর্মী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহিদ হাসান প্রীতম নান্দাইলের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালামের মেয়ে ওয়াহিদা হোসেন রূপার স্বামী। কামরুজ্জামান ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মীরহাজারীবাগ এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার কুমারখালী গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
এদিকে অস্ত্রধারী ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মো. মাছুম আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘এভাবে মিছিলের অগ্রভাগে অস্ত্র নিয়ে থাকা প্রাথমিকভাবে বেআইনি বলে মনে হচ্ছে। লাইসেন্স থাকলেও কিছু শর্ত থাকে। সেসব শর্ত লঙ্ঘন হয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’