Bangladesh

আওয়ামী লীগ নেতারাই সারের মোড়ল

সার আছে, সার নেই– এমন গোলকধাঁধায় কৃষককুল। সরকার বলছে, ডিলারের গুদাম সারে ভরা। বিপরীতে ডিলাররা প্রচার করছেন, তাদের গুদামে সারের খরা। সমকাল অনুসন্ধানে নেমে দেখেছে, গুদামে মজুত রেখে ডিলাররা বলছেন, ‘সার নেই।’ তবে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিলে তাদের কাছেই মিলছে যত খুশি তত। ডিলার, অসাধু সরকারি কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের পুরোনো মোড়লরা এখনও ঘোরাচ্ছেন ছড়ি। কিছু আওয়ামী লীগ নেতা কৃত্রিম সার সংকট তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার খেলায় মেতেছেন। মাঠ পর্যায়ের কোনো কোনো কৃষি কর্মকর্তার অনিয়মের কারণেও সার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। বেশি দামে কালোবাজারে সার বিক্রির অভিযোগও রয়েছে বিস্তর। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানে সরকার বদল হলেও এখনও সারের বাজারের নাটাই আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া ডিলারদের হাতে। তাদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এসব চক্রের লাগাম টানা না গেলে সংকট আরও গভীর হতে পারে।

কিনতে হচ্ছে চড়া দামে 
রবি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠে ভুট্টা, সরিষা, রসুন ও পেঁয়াজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। তবে চাহিদা বাড়ায় বাজারে দেখা দিয়েছে সার সংকট। এতে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় এ উপকরণ। যদিও সরকার সারে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এ জন্য দামও নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। তবে সারাদেশেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা সরাসরি সার না পেলেও ডিলাররা বেশি দামে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে তা বিক্রি করছেন।

নাটোর সদরের মোহনপুর এলাকার কৃষক সবুজ আলী দেড় বিঘা জমির রোপা-আমন ধান কাটার পর সে জমিতেই রোপণ করছেন রসুন। এর আগে জমি প্রস্তুত করতে দিতে হয়েছে টিএসপি, ডিএপি, এমওপি সার। তবে সারের বাড়তি দরের কারণে বিপাকে পড়েন তিনি।

গাইবান্ধায় সরকার নির্ধারিত দরে প্রতি কেজি টিএসপি ২৭ টাকা, এমওপি বা পটাশ ২০ টাকা। তবে অধিকাংশ সারের ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা টিএসপি ৩২ থেকে ৪০ টাকা, এমওপি ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পাঁচলিয়া ও বোয়ালিয়া বাজারে ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়। একইভাবে কৃষক পর্যায়ে এমওপি প্রতি কেজি ২০ টাকার বদলে ২৪ টাকায়, ডিএপি ২১ টাকার বদলে ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বস্তাপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম রাখছেন বিক্রেতারা। 

শুধু গাইবান্ধা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ নয়; পঞ্চগড়, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজশাহী, রাজবাড়ী, বগুড়া, নওগাঁ, খুলনাসহ প্রায় সব জেলাতেই ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার বেশি দামে বিক্রির তথ্য মিলেছে। অনেক ডিলারের বিরুদ্ধেই এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তারা নিজেরা সার বিক্রি না করে খুচরা বিক্রেতাকে দিয়ে দিচ্ছেন। যেখান থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। 

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এমন একটা সময়ে কৃষকদের সারের পেছনে অতিরিক্ত টাকা ঢালতে হচ্ছে, যখন চাল উৎপাদনের বড় মৌসুম শুরু হয়েছে। এই বোরো মৌসুমে দুই কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদন হয়, যা সারাবছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে এ মৌসুমে সারাবছরের জন্য পেঁয়াজ, আলু, সরিষা, গম উৎপাদন হয়। প্রচুর পরিমাণে সবজি উৎপাদনের এই সময়ে বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম থাকে নাগালের মধ্যে। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নন ইউরিয়া টিএসপি, ডিএপি, এমওপি সারের গোগান দিয়ে থাকে। বিএডিসির পাশাপাশি নন-ইউরিয়া সারের জোগান আসে বেসরকারি আমদানিকারকদের মাধ্যমে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানির মাধ্যমে ইউরিয়ার জোগান দেয়। 

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া নন-ইউরিয়া ও ইউরিয়া সারের মজুতের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নন-ইউরিয়া পরিচিতি টিএসপি সারের ডিসেম্বর-মার্চ পর্যন্ত চার মাসের চাহিদা ৩.৬১ লাখ টন, ডিএপি সারের চাহিদা ৭.৪৪ লাখ টন এবং এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে ৪.১৩ লাখ টন। এর বিপরীতে বিএডিসির গুদাম ও পরিবহনাধীন সারের মোট মজুতের মধ্যে টিএসপি ১.০২ লাখ টন, ডিএপি ১.৩৯ লাখ টন এবং এমওপি সার রয়েছে ২.২৯ লাখ টন। এটি প্রতিষ্ঠানের গত ১০ ডিসেম্বরের হিসাব। 

এ ছাড়া ডিসেম্বরের চাহিদার একটি অংশ সরবরাহ করবে বেসরকারি আমদানিকারকরা। বিএডিসির বাইরে মোট চাহিদার ২৫.৬৮ শতাংশ টিএসপি, ৩০.৪৩ শতাংশ ডিএপি এবং ১৮.৩৭ শতাংশ এমওপি সার সরবরাহ করবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। 

শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইউরিয়া সার নিয়ে টানাটানি এই অর্থবছরের শুরু থেকেই। দেশের রাজনৈতিক সংকট, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে ঠিকমতো সার আমদানি হয়নি। আবার গ্যাস সংকটে পাঁচ কারখানার অধিকাংশই ছিল বন্ধ। এর প্রভাবে জুলাই, আগস্ট ও নভেম্বরে চাহিদার চেয়ে কম সার সরবরাহ করেছে বিসিআইসি।

সিন্ডিকেটের মতলববাজি
দেশে সারের ডিলার আছে ৭ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে বিএডিসি অনুমোদিত ৫ হাজার ২২ জন এবং বিসিআইসির ২ হাজার ১১৮ জন। এসব ডিলার অধিকাংশই আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পেয়েছেন। তারা এখনও বহাল। ফলে সার নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঝিনাইদহে মাত্র ১৩টি বিসিআইসির সার ডিলার ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত ৬৭টি ডিলার নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ৫০টি ডিলারশিপ আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপিসহ দলীয় নেতার নামে। এসবের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন ডিলার মামলার কারণে পলাতক। এসব আওয়ামী লীগ নেতা পলাতক থাকলেও তাদের অনুপস্থিতিতে সার কেনাবেচা হচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারের ডিলারশিপ দিয়েছিল। এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। সার নিয়েও তারা খেলছে। 

আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০০৯ সালে হবিগঞ্জের মাধবপুরের ১১টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের ডিলার নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, যে ১২ জন সারের ডিলারশিপ পেয়েছেন, তাদের ছাড়া আর কাউকেই আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। যারা নিয়োগ পেয়েছিলেন তারা আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শরিক এবং জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থক। ফলে ওই ১২ জনই উপজেলার সারের ডিলারশিপ ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। ১২ ডিলারের মধ্যে আবার একই পরিবারের একাধিক জনও আছেন। বিসিআইসি সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯ এর ৩.২ উপধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘নিজ মালিকানায় অথবা ভাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভায় বিক্রয়কেন্দ্রসহ কমপক্ষে ৫০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম থাকতে হবে। তবে তা অধিকাংশ ডিলারের নেই। গত সাড়ে ১৫ বছর সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কৃষি অধিদপ্তরের নীতিমালার তোয়াক্কা না করে এক ডিলার একাধিক লাইসেন্সের অধীনে সার তুলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চড়া দামে বিক্রি করছেন। 

আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০০৯ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ৯টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় বিসিআইসির সারের ডিলারশিপ নিয়োগ দেয় সরকার। এ ছাড়া সে সময় এসব এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধার্থে আরও ৬৪ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হয়। তখন ৯টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও ছিল ঘাপলা। 

মেহেরপুরের গাংনীর নওপাড়া বাজারে সাজেদুর রহমানের মালিকানায় বিশ্বাস ট্রেডার্স নামে বিএডিসির লাইসেন্সধারী একটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা থাকলেও সেখানে নেই গুদাম এবং সার বিক্রির দোকান। গেল নভেম্বরে এ প্রতিষ্ঠান বিএডিসি থেকে ১৬.২৫ টন টিএসপি এবং ১৭.২৫ টন এমওপি সার তুলেছেন। অথচ নওপাড়া গ্রামের কোনো চাষি তাঁর কাছ থেকে সার পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে গাড়াডোবের ওয়াহেদ ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে। তাঁর নিবন্ধনে ব্যবসা করছেন মেহেরপুরের জনৈক তোতা। শুধু বিশ্বাস কিংবা ওয়াহেদ ট্রেসার্ড নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএডিসি লাইসেন্সধারী অনেক প্রতিষ্ঠান কাগজ-কলমে সার উত্তোলন ও বিক্রির হিসাব দেখালেও বাস্তবে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। 

রাজশাহীর পবার বায়া বাজারের কৃষক সার কিনেছেন এক বস্তা। তবে ডিলারের ভাউচারে (ক্যাশ মেমো) দেখানো হয়েছে ৪০ বস্তা ডিএপি সার। বিক্রেতার সঙ্গে সার ক্রেতার দেওয়ার তথ্যের গরমিল পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ১০ ডিসেম্বর মেসার্স নাহার এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স জারমান আলী ট্রেডার্সকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মহদীপুর ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স রামচন্দ্র সাহা প্রোপ্রাইটার স্বর্গীয় চন্দন সাহা। চন্দন সাহার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ববি সাহার নামে ২০২২ সালে নিবন্ধন স্থানান্তর করা হয়। তাঁর প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা মূলত ঠুঠিয়াপাকুর বাজারে হওয়ার কথা থাকলেও পলাশবাড়ীর কালীবাড়ি বাজারে রয়েছে তাঁর আরেকটি গুদাম। মূলত নির্ধারিত মহদীপুর ইউনিয়নের জন্য তাঁর ডিলারশিপ নিবন্ধিত। তিনি সেই ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠান না রেখে ঠুঠিয়াপাকুর বাজারের সাব-সেন্টার কালীবাড়ি বাজার থেকে সার বিক্রি করে থাকেন। আবার মহদীপুর ইউনিয়নের সাব-সেন্টারটি অনিয়মিতভাবে পরিচালনা করেন মেসার্স রামচন্দ্র সাহার ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান টুটুল। মূলত তিনিই কালোবাজারে এসব সার বিক্রি করেন।

গত ২২ নভেম্বর রাজশাহীর কামারগাঁও বাজারে বিসিআইসি সার ডিলার মৌসুমী ট্রেডার্সের দোকানে চাষিরা সার কিনতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা প্রভাব খাটিয়ে ট্রলিতেবিপুল পরিমাণ সার নিয়ে যান। অথচ শতাধিক চাষি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও সার পাননি।

লালমনিরহাট সদরে অবৈধভাবে সার মজুত করায় গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলামকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ জানায়, রবিউল উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি সারের ডিলার না হলেও অবৈধভাবে মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।

বিএডিসির দিনাজপুর অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক (সার) শওকত আলীর বিরুদ্ধে ডিলারদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সার ডিলাররা গত ২ নভেম্বর বিএডিসির চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারের ডিলারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। সার না পেয়ে সম্প্রতি কৃষকরা তাঁকে অবরুদ্ধ করেন।

কারা কী বলছেন
বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান বলেন, ডলার সংকট কেটে যাওয়ার পর থেকেই সার আমদানিতে কোনো সমস্যা নেই। সবই সময়মতো দেশে আসছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হবে। 

কৃষি সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সমকালকে বলেন, সারের সংকট নেই। তবে একটি চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সারের দাম বেশি নিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সার নিয়ে যাতে কেউ ষড়যন্ত্র না করতে পারে, সে জন্য মাঠ পর্যায়ে কঠোর নজরদারি চলছে। সার উত্তোলন, বিতরণ ও মজুত বর্তমানে স্বাভাবিক। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button