Science & Tech

আকাশে উঠছে এপ্রিলের ‘পিংক মুন’, তবে চেহারায় নেই গোলাপি আভা

আকাশপ্রেমীদের জন্য সুখবর! শনিবার (১২ এপ্রিল) আকাশে উঠছে ‘পিংক মুন’। এপ্রিলের এই পূর্ণিমা ‘প্যাসকেল মুন’ নামেও পরিচিত। এটি প্রকৃতির পুনর্জীবনের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। শীতের নিস্তব্ধতা কাটিয়ে আবারও প্রাণ ফিরে পাওয়া প্রকৃতির এই সময়কে স্মরণ করেই মূলত ‘পিংক মুন’ নামটি এসেছে।

তবে এই চাঁদ আদৌ গোলাপি রঙের হবে না। নামের পেছনের গল্পটা আলাদা। উত্তর আমেরিকার আদিবাসীরা এপ্রিল মাসে ফুটে ওঠা গোলাপি বুনো ফুল ‘গ্রাউন্ড ফ্লক্স’-এর নামে এই পূর্ণিমার নাম রেখেছেন।

এবার হবে বছরের সবচেয়ে ছোট পূর্ণিমা, অর্থাৎ ‘মাইক্রোমুন’। কারণ এ সময় চাঁদ তার কক্ষপথের পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরের বিন্দুতে অবস্থান করবে। ফলে আকারে এটি প্রায় ৫.১ শতাংশ ছোট দেখাবে। তবে খালি চোখে এর তারতম্য খুব একটা বোঝা যাবে না।

এই বিশেষ রাতের সৌন্দর্য আরও বাড়াবে উজ্জ্বল নীল-সাদা তারকা ‘স্পাইকা’, যাকে চাঁদের পাশেই দেখা যাবে। বিশেষ করে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু জায়গা থেকে দেখা যাবে একটি বিরল দৃশ্য—চাঁদ কিছু সময়ের জন্য স্পাইকাকে ঢেকে দেবে, যাকে বলা হয় ‘অকালটেশন’।

এই চাঁদকে ‘প্যাসকেল মুন’ বলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মমতে, ইস্টার সানডে নির্ধারিত হয় মার্চের বসন্তবিষুবের পর প্রথম পূর্ণিমার ভিত্তিতে। যদিও এবারের প্যাসকেল মুন ২০ মার্চে ঘটেছে, তবে ১২ এপ্রিলের পূর্ণিমা প্রকৃতির পূর্ণতা ও ঋতুর পরিবর্তনের এক অনন্য বার্তা নিয়ে এসেছে।

এমন একটি রাত দেখতে চাইলে খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে দিগন্তের কাছ থেকে চাঁদ ওঠার সময় দেখুন। তখন চাঁদ আরও বড় ও সোনালি বর্ণের দেখাবে—যা ‘মুন ইলিউশন’ নামে পরিচিত।

পরবর্তী পূর্ণিমা অর্থাৎ ‘ফ্লাওয়ার মুন’ দেখা যাবে ১২ মে। এর আগে ১৪ মার্চ দেখা গিয়েছিল ‘ব্লাড মুন’, আর ১২ ফেব্রুয়ারি উঠেছিল ‘স্নো মুন’। প্রকৃতির এই দুর্লভ সৌন্দর্য হাতছাড়া করতে না চাইলে আকাশে চোখ রাখুন। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto