আতশ কাচ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন প্রজেক্টর
একটা ম্যাগনিফায়িং গ্ল্যাসের দাম কত। ৫০/৬০ টাকা! এটাই হয়ে উঠতে পারে আপনার মোবাইল ফোনের প্রজেক্টর। এরজন্য অবশ্য আর কোনো বড় আয়োজনের দরকার নেই। এর জন্য ঘর অন্ধকার করে ফেলতে হবে।
রাত হলে বেশি ভালো হয়। এবার দরকার হবে সাদা একটা পর্দার। সেটা কাপড়ও হতে পারে, কিংবা পিভিসি শীট। আবার চুনকাম করা সাদা দেয়াল হলেও চলবে।
এবার মোবাইল ফোনটাকে একটা স্ট্যান্ডের সাথে আটকে দিন। খেয়াল রাখতে হবে, সেটা যেন পর্দার সাথে মুখোমুখি অবস্থায় থাকে। তারপর মোবাইল ফোনে চালিয়ে দিন কোনো ভিডিও মুভি বা গান। তারপর ম্যাগনিফায়িং গ্লাসটা ধরুন ফোনের স্ক্রিনের সামনে।
এমনভাবে ধরবেন যেন মোবাইলের আলো ম্যাগনিফায়িং গ্লাসের ভেতর দিয়ে গিয়ে পর্দার পড়তে পারে। প্রথমে হয়তো পর্দার ওপরে ঝাপসা ছবি দেখবে। ধীরে ধীরে গ্লাসটাকে সামনে পেছনে করে ওর ফোকাস দূরত্ব ঠিক করে নিন। ঠিকঠাক জায়গায় গ্লাসটা এলেই দেখবেন পর্দার ওপরে স্পষ্ট ছবি ভেসে উঠেছে। এবং তা তোমার মোবাইলের স্ক্রিনের তুলনায় কয়েকশ গুণ বড়!
কিন্তু সমস্যা তখনো একটা রয়ে গেছে।
পর্দায় যে ছবি দেখছেন তা উল্টো। মানুষের ছবি হলে দেখবে, নিচের দিকে মাথা আর ওপরের দিকে পা! এর সমাধানও আছে। এর কারণ ম্যাগনিফাইনিং গ্ল্যাসের ধর্ম। ম্যাগনিফাইনিং গ্ল্যাস তৈরি হয় উত্তল লেন্স দিয়ে। উত্তল লেন্স উল্টো প্রতিবিম্ব গঠন করে।
এই সমস্যা দূর করারও সহজ উপায় রয়েছে। তোমার মোবাইল ফোনটাকেই উল্টো করে স্ট্যান্ডের ওপর রাখো। তখন মোবাইলের সেই উল্টো ছবিই পর্দায় ভেসে উঠবে সোজা হয়ে।
মোবাইল ফোনের রেজুলেশন যত ভালো হবে পর্দার ছবিও তত স্পষ্ট হবে। আর ভিডিও এইচডি কোয়ালিটির হলে পর্দার ছবির মান ভালো পাবেন। নইলে ছবি অনেক হালকা হবে। তবে মোবাইল ফোন আর পর্দার দূরত্ব যত কম হবে ছবির মান তত ভালো হবে। অবশ্য ছবির আকারও ছোট হবে।
সম্ভব হলে পুরো ব্যাবস্থাটা একটা কার্টন বাক্সে বসিয়ে দিতে পারেন ওপরের ছবির মতো। তাহলে ছবি আরও উজ্জ্বল হবে। সেক্ষত্রে অবশ্যই বাক্সের ভেতরের দেয়ালগুলো কালো রং করে ফেলতে হবে।