Science & Tech

আত্মহত্যা ঠেকাবে এআই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জয়জয়কার এখন সবদিকে। মানুষের কাজ সহজ করে আনতে এআইকে কাজে লাগানো হচ্ছে। আবার মানুষকে বিপাকেও ফেলছেন এআই।

তবে এবার এআইকে বিশেষ এক ইতিবাচক কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, আত্মহত্যার ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এআই।

এই গবেষণায় নেতৃত্বে দিয়েছেন ‘ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার’-এর  ড. কলিন ওয়ালশ।

গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ভ্যান্ডারবিল্ট সুইসাইড অ্যাটেম্পট অ্যান্ড আইডিয়েশন লাইকলিহুড মডেল বা ভিএসএআইএল’ নামের এক এআই সিস্টেম নিয়মিত ভিজিটের সময় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের বাছাই করতে ডাক্তারদের সাহায্য করতে পারে।

‘জেএএমএ নেটওয়ার্ক ওপেন’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় চিকিৎসকদের সতর্ক করার জন্য দুটি পদ্ধতি পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। এর একটি হচ্ছে পপআপ নোটিফিকেশন আর অপরটি হচ্ছে রোগীর ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য রেকর্ডে ঝুঁকির তথ্য দেখানোর মাধ্যমে সতর্কতা।

ওয়ালশ বলেছেন, আত্মহত্যার ফলে মারা যাওয়া বেশিরভাগ মানুষ তাদের মৃত্যুর আগে এক বছরের মধ্যে অন্তত একজন স্বাস্থ্যসেবীর কাছে গিয়েছেন। তবে, মানসিক স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কোনো কারণে যাননি। এই বাছাই বা ‘ইউনিভার্সাল স্ক্রিনিং’ সব ক্ষেত্রে ব্যবহারিক নয়। তাই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের শনাক্ত ও গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আমরা ভিএসএআইএল ডিজাইন করেছি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি এক লাখ মৃত্যুর মধ্যে ১৪.২ জনই মারা যান আত্মহত্যায়। দেশটিতে মৃত্যুর ১১তম প্রধান কারণ এটি। রোগীর আত্মহত্যার চেষ্টার ৩০ দিনের ঝুঁকি হিসাব করার জন্য ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য রেকর্ড বিশ্লেষণ করে একটি পদ্ধতি প্রস্তাব করেছে ভিএসএআইএল।

সাম্প্রতিক গবেষণায় ভ্যান্ডারবিল্টের বিভিন্ন ক্লিনিকে নজর দিয়েছিলেন গবেষকরা। যেখানে মৃগী বা মাইগ্রেনের মতো কিছু স্নায়বিক অবস্থার রোগীরা আত্মহত্যার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। ছয় মাস ধরে এ সিস্টেমটি আট শতাংশ রোগীকে নিয়মিত ভিজিট করেছে, যেখানে সাত হাজার সাতশ ৩২ জন রোগীর মধ্যে পাঁচশ ৯৬ জন রোগীর বেলায় সতর্ক করেছে এটি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto