আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশকে নির্বিচার হত্যা করার লাইসেন্স দিয়েছে সরকার: রিজভী
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে দলের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড কাপুরুষোচিত।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পুলিশ। তবে বিএনপির দাবি, পুলিশের গুলিতে তাদের দুজন নিহত হয়েছেন। আজ সকাল আটটার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনায় দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য পুলিশকে নির্বিচার হত্যা করার লাইসেন্স দিয়েছে সরকার। বর্তমান পুলিশ বাহিনী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, অনাচার ও অবিচারের পাহারাদার। পুলিশ এখন আর রাষ্ট্রীয় বাহিনী নয়। এরা আইনানুগ আচরণ করতে ভুলে গেছে।
কুলিয়ারচরে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় তুলে ধরেন রিজভী। তাঁরা হলেন ছাত্রদলের নেতা সেফায়েত উল্লাহ ও ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মো. বিল্লাল মিয়া।
রিজভী বলেন, আজ বিএনপির ডাকা ও সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল–সমর্থিত শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিকে এরা রক্তাক্ত পন্থায় দমন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এরা ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অবরোধ কর্মসূচিকে বানচাল করার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে। আত্মত্যাগের অঙ্গীকারে বলীয়ান নেতা-কর্মী নিজের জীবনকে তুচ্ছ করেও অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে রাজপথে এগিয়ে চলেছেন। নানাভাবে বলার পরও নিহত দুজনের লাশ পুলিশ এখনো তাঁদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়নি।
নিহত দুই নেতার লাশ তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়ে রিজভী আহত ব্যক্তিদের সুস্থতা ও নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ জন নিহতের দাবি বিএনপির, একজনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে পুলিশ