আপনার ফোনে কি কেউ আড়ি পাতছে?
ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই প্রবল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে অত্যাধুনিক নজরদারি কৌশলের উত্থানের সঙ্গে। এরকম একটি পদ্ধতি হল ফোন ট্যাপিং।
কারো ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে কি না তা শনাক্ত করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ আধুনিক নজরদারি পদ্ধতি প্রায়শই বিচক্ষণ এবং শনাক্ত করা কঠিন। নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ ইঙ্গিত দিতে পারে যে ফোন ট্যাপ করা হয়েছে–
অস্বাভাবিক শব্দ: কেউ যদি ফোন কলের সময় ক্লিক, স্ট্যাটিক বা প্রতিধ্বনির মতো অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান তবে এটি নজরদারি সরঞ্জামের হস্তক্ষেপের লক্ষণ হতে পারে।
ফোন অতিরিক্ত গরম হওয়া: কারো ফোন যদি অতিরিক্ত গরম হয়; বিশেষ করে যখন ফোন ব্যবহার করা হয় না তখনও। তাহলে এটি স্পাইওয়্যার বা নজরদারি সফ্টওয়্যারের ব্যবহার করা হতে পারে।
ডেটা ব্যবহার বেড়ে যাওয়া: কারো ফোনে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ডেটা ব্যবহার বেড়ে যাওয়া ফোন ট্যাপের কারণ হতে পারে। কারণ কোনো অননুমোদিত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীর অজান্তেই ডেটা প্রেরণ করে থাকতে পারে।
ফোন রিস্টার্ট হতে সময় নেওয়া: যদি কারো ফোন বন্ধ হতে বা রিস্টার্ট হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেয়। তাহলে নজরদারি কোনো সফ্টওয়্যার ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে পারে। এটি স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপকে বাধা দিচ্ছে এমন একটি চিহ্ন হতে পারে।
অস্বাভাবিক মেসেজ পাওয়া: অস্বাভাবিক মেসেজ, সতর্কতা বা বিজ্ঞপ্তি পাওয়া। বিশেষ করে যেগুলি এলোমেলো অক্ষর বা কোনো চিহ্ন থাকতে পারে। এরকম হলে বুঝতে হবে ডিভাইসটিকে কেউ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
কলের সময় অদ্ভুত আচরণ: যদি কলের সময় ফোন অস্বাভাবিক আচরণ করে, যেমন ড্রপিং, অপ্রত্যাশিতভাবে কল করা বা কল বিকৃতির সম্মুখীন হওয়া। এসব ফোন ট্যাপিংয়ের ইঙ্গিত দেয়। সতর্ক হোন, হতে পারে কেউ নজর রাখছে আপনার ফোনে।
অচেনা ডিভাইসের কানেকশন: ফোনের ব্লুটুথ, ওয়াইফাই বা হটস্পটে অচেনা ডিভাইসের কানেকশন দেখা দিতে পারে। ফোনের নেটওয়ার্ক কার্যকলাপ সন্দেহজনক সংযোগ বা অননুমোদিত ডাটা ট্রান্সফার শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। যা ফোন ট্যাপ করার প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।