Science & Tech

আবিষ্কার হল ক্যানসার মুক্তির মোক্ষম ওষুধ, কি বলছেন ডাক্তাররা

আবিষ্কৃত হল ‘বিস্ময়কর’ একটি ওষুধ, ক্যানসারের এক আক্রমণাত্মক রূপের মোক্ষম দাওয়াই হিসাবে ব্যবহার করা যাবে এটি। লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির একটি দলের নেতৃত্বে এই ওষুধটি আবিষ্কারের জন্য গবেষণা চালান হয়েছিল। ওষুধটি আবিষ্কার করে গবেষকরা বলেছেন যে এই ওষুধের মাধ্যমে তাদের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর গড় বেঁচে থাকার হার ১.৬ মাস পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, মূলত মেসোথেলিওমার রোগীদের জন্য কাজ করবে নতুন ওষুধটি। গত ২০ বছরে এই প্রথম কোনও ওষুধ টিউমারের খাদ্য সরবরাহকে কমিয়ে মেসোথেলিওমার চিকিৎসায় সফলতার হার আরও বাড়িয়ে দেবে। ক্যানসার রিসার্চ ইউকে-এর পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ব্রিটেনে প্রতি বছর মেসোথেলিওমার প্রায় ২,৭০০ নতুন কেস রয়েছে। এবং এর মধ্যে প্রায় ২,৪০০ জন মারা যান। সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের মধ্যে মাত্র দুই শতাংশ রোগী রোগ নির্ণয়ের পর আরও ১০ বছর বাঁচার আশা রাখতে পারেন।

কুইন মেরির অধ্যাপক পিটার স্জলোসারেকের নেতৃত্বে নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রত্যেক রোগী প্রতি তিন সপ্তাহে কেমোথেরাপি পেয়ে থাকেন। গবেষণা চলাকালীন মেসোথেলিওমা রোগীদের দুই ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। অর্ধেককে নতুন ওষুধ, ADI-PEG20 (Pegargiminase) এর ইনজেকশনও দেয়া হয়েছিল এবং বাকি অর্ধেক জনকে পুরনো ওষুধ প্লাসিবো দেয়া হয়েছিল। গবেষণার শেষ পর্যায়ে ৭০ বছর বয়সী প্লুরাল মেসোথেলিওমা আক্রান্ত প্রায় প্রায় ২৪৯ জন রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচটি দেশ অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি এবং তাইওয়ানের ৪৩টি কেন্দ্রে এই গবেষণা করার পর ১ বছরের জন্য ট্রায়ালে অন্তর্ভুক্ত রোগীদের স্বাস্থ্যের গতিবিধির উপর খেয়াল রেখেছিল সংস্থা।

এরপর সবটা নিরীক্ষণ করে প্রকাশিত হয়েছে একটি সমীক্ষা। JAMA অনকোলজি জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, যারা প্লেস-বো কেমোথেরাপি পেয়েছিলেন তারা ৭.৭ মাস বেঁচেছিলেন। আর যারা পেগারগিমিনেজ কেমোথেরাপি পেয়েছিলেন তারা গড়ে ৯.৩ মাস বেঁচে ছিলেন।

মেসোথেলিওমা কি

মেসোথেলিওমা হল এক ধরনের ক্যান্সার যা শরীরের কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আস্তরণ-প্রধানত ফুসফুসের আস্তরণকে ঢেকে রাখে। এটি সাধারণত অ্যাসবেস্টস এক্সপোজারের সঙ্গে যুক্ত।

মেসোথেলিওমার লক্ষণ

এনএইচএস অনুসারে ফুসফুসের আস্তরণে মেসোথেলিওমার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে :

১) বুক ব্যথা

২) নিঃশ্বাসের দুর্বলতা

৩) ক্লান্তি (চরম ক্লান্তি)

৪) শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা এবং ঘাম, বিশেষ করে রাতে অবিরাম কাশি

৫) ক্ষুধা হ্রাস এবং অব্যক্ত ওজন হ্রাস

৬) আঙ্গুলের ডগা ফোলা

পেটের আস্তরণে মেসোথেলিওমার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে :

১) পেটে ব্যথা বা ফুলে যাওয়া

২) অনুভব করা বা অসুস্থ হওয়া

৩) খিদে হ্রাস এবং ওজন হ্রাস

৩) ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button