আব্রাহাম চুক্তিতে আসতে চান আল-শারা, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সিরিয়া এক পর্যায়ে ‘আব্রাহাম চুক্তিতে’ যোগ দেবে এবং এ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আল-শারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) সৌদি আরবে সিরিয়ার ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প।
রিয়াদে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে ট্রাম্প-শারার এই সাক্ষাৎ হলো। পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ সকালে সৌদি আরবে সংক্ষিপ্ত বৈঠকটি দুর্দান্ত হয়েছে। সিরিয়ান (আল-শারা) একজন তরুণ, আকর্ষণীয় লোক। শক্ত লোক। শক্তিশালী অতীত। খুব শক্তিশালী অতীত। যোদ্ধা।’
ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ধরে রাখার ক্ষেত্রে তার সত্যিই দক্ষতা আছে। আমি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছি, যিনি তার সঙ্গে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। তিনি (এরদোয়ান) মনে করেন, তার ভালো কাজ করার সুযোগ আছে। এটি একটি বিধ্বস্ত দেশ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি মনে করেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সিরিয়া এক পর্যায়ে ‘আব্রাহাম চুক্তিতে’ যোগ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমি তাকে (আল-শারাকে) বলেছিলাম, আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে তুমিও (আব্রাহাম চুক্তিতে) যোগ দেবে। সে বলল, হ্যাঁ। কিন্তু তাদের অনেক কাজ বাকি।’
এর আগে, গত ডিসেম্বরে আল-শারার নেতৃত্বে দীর্ঘদিনের শক্তিশালী বাশার আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিদ্রোহীরা। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হন তিনি।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি জানান, এমবিএস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের অনুরোধে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছেন। এ সময় রসিকতার সুরে বলেন, ‘আহ, যুবরাজের জন্য আমি কত কিছুই না করি!’
বক্তব্যে তিনি সৌদি আরবকে ‘বিশ্বের কেন্দ্র’ বলেও অভিহিত করেন। সম্মেলনে ট্রাম্প ১৪২ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্যাকেজের কথা তুলে ধরেন।