আমাজনের ছাই দিয়ে চিত্রকর্ম
গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে গাছের ডালে বসে একটি প্যাঁচা চিৎকার করছে। চোখ জ্বলজ্বল করে উঠছে সেটির। এমন একটি চিত্রকর্ম তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের চিত্রশিল্পী সারাহ বল। তিনি চিত্রকর্মটির নাম দিয়েছেন ‘মেগাসকপস স্ট্যানজি’। নামটি মূলত ব্রাজিলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আবাসস্থল সিঙ্গু অঞ্চলের ওই প্যাঁচার বৈজ্ঞানিক নাম।
সারাহর এই চিত্রকর্ম কেবল এর বিষয়বস্তুর জন্যই অনন্য নয়, এটি কীভাবে তৈরি করা হয়েছে, তার জন্যও আকর্ষণীয়। কারণ, এই প্যাঁচার চিত্রকর্মটি তৈরিতে প্রাথমিকভাবে কালো ও ধূসর প্যাস্টেল (ছবি আঁকার রঙিন খড়ি) ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্যাস্টেল তৈরি করা হয়েছে ছাই দিয়ে। ওই ছাই মূলত দাবানলে পোড়া চিরহরিৎ বন (রেইন ফরেস্ট) আমাজনের ছাই দিয়ে তৈরি করা।
সারাহ বলের চিত্রকর্মটি মূলত ‘ফ্রম দ্য অ্যাশেজ’ নামের একটি প্রকল্পের অংশ। লন্ডনের ট্রুম্যান ব্রিওয়েরিতে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ‘ফ্রম দ্য অ্যাশেজ’ নামের এই চিত্রকর্মের প্রদর্শনী চলছে। এতে নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় ও এর বাইরের ২৯ জন চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। এখানে যেসব চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হচ্ছে, তা তৈরিতে ছাই ও কাঠকয়লা থেকে তৈরি কালি, রঙ্গক এবং প্যাস্টেল ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্রকল্প চালু করতে সহায়তা করেছে লন্ডনভিত্তিক সামাজিক উদ্যোগ মাইগ্রেট আর্ট নামের একটি সংস্থা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাজনের পুড়ে যাওয়া অবশিষ্টাংশের উপাদান নিয়ে চিত্রকর্মে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রকল্পটিতে সহযোগিতা করেছে চিত্রকর্ম গবেষণাকেন্দ্র পিপলস প্যালেস প্রজেক্টস। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে তাদের আগুন থেকে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সহায়তা করা।
মাইগ্রেট আর্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চিত্রশিল্পী সিমন বার্টলান বলেন, এ বছরের মার্চ থেকেই চিত্রকর্মগুলো লন্ডনে ক্রিস্টিসের নিলাম তোলা হবে।