ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ইউক্রেনের ছেড়ে দেওয়া পরমাণু অস্ত্র ফেরত দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছে না যুক্তরাষ্ট্র। রোববার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। রয়টার্স।
সুলিভান বলেছেন, আমরা এমন কিছু বিবেচনা করছি না। আমরা যা করছি তা হলো, ইউক্রেনকে প্রচুর প্রচলিত অস্ত্র সরবরাহ করা। যাতে তারা নিজেদের কার্যকরভাবে রক্ষা করতে পারে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। তবে তাদের পারমাণবিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কিছু অজ্ঞাত পশ্চিমা কর্মকর্তা ধারণা করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদের শেষদিকে ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন। তবে এমন খবরকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন সুলিভান। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা যা করছি তা হলো পারমাণবিক সক্ষমতা না দিয়েই ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রথাগত ক্ষমতা বাড়ানো। যাতে তারা কার্যকরভাবে আত্মরক্ষা করতে পারে ও যুদ্ধে রুশদের পরাজিত করতে পারে।’
এদিকে রাশিয়া এই ধারণাকে ‘সম্পূর্ণ উন্মত্ততা’ বলে উল্লেখ করেছে। মস্কো বলেছে, এমন একটি পরিস্থিতি প্রতিরোধ করাই ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানের অন্যতম কারণ। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে পতনের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পারমাণবিক অস্ত্র পেয়েছিল কিয়েভ। তবে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের কাছ থেকে নিরাপত্তা আশ্বাসের বিনিময়ে ১৯৯৪ সালের বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডাম চুক্তির অধীনে সেগুলো জমা দিয়ে দেয় দেশটি।
এদিকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই ইউক্রেন সফর করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। এই সফরে চলতি মাসে কিয়েভকে ৬৮৩ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ইউক্রেন সফরে যান জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস। প্রায় তিন বছর আগে কিয়েভে পুরোদমে রুশ অভিযান শুরুর পর এটি শলৎসের দ্বিতীয় সফর। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় এ যুদ্ধে আগামীতে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেবে কি না যুক্তরাষ্ট্র তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভের পাশে এসে দাঁড়াল জার্মানি। এই যুদ্ধে জার্মানি যে আগামীতেও ইউক্রেনকে সমর্থন দেবে শলৎসের সফর যেন তারই আশ্বাস।
কিয়েভ সফরের বিষয়ে এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে শলৎস লেখেন, ‘আমি আজ রাতে ট্রেনে করে কিয়েভ ভ্রমণ করছি। এটি এমন একটি দেশ, যারা এক হাজার দিনেরও বেশি সময় ধরে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করে আসছে।’ তিনি আরও লেখেন, আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, জার্মানি ইউরোপে ইউক্রেনের সবচেয়ে শক্তিশালী সমর্থক হয়ে থাকবে। ইউক্রেন জার্মানির ওপর নির্ভর করতে পারে। আমরা যা করি তা বলি এবং আমরা যা বলি তা-ই করি।
This is the right blog for anyone who wants to find out about this topic. You realize so much its almost hard to argue with you (not that I actually would want…HaHa). You definitely put a new spin on a topic thats been written about for years. Great stuff, just great!