ইউক্রেনকে রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
কুরস্কে বেশ কয়েকজন পোলিশ ও জার্মান ভাড়াটে সৈন্য আটক
কুরস্ক অঞ্চলে আখমত স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোরা বেশ কয়েকবার জার্মান এবং পোলিশ ভাষায় কথা বলা ভাড়াটেদে যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং তাদের সবাইকে বন্দী করা হয়েছে। আখমতের একটি কমান্ডো স্কোয়াডের প্রধান কাশতান (ছদ্ম নাম, যার অর্থ চেস্টনাট) বার্তা সংস্থা তাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে বিদেশী ভাড়াটেদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছি। সেখানে জার্মান এবং কিছু পোলিশ ছিল। যখন আমরা তাদের সাথে যুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলাম এবং তাদের একে অপরের সাথে কথা বলতে শুনেছিলাম, তখন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে তারা বিদেশী। আমরা যাদের বন্দী করেছি তাদের মধ্যে তারা ইউক্রেনীয় জঙ্গি নয়। এর মানে হল যে তাদেরকে পরিত্যাগ করা হয়েছে।’ এর আগে, জানা গেছে যে গত কয়েকদিন ধরে কাশতানের লোকেরা কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আটজন সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল এবং দুটি শত্রæ দলকে ধ্বংস করেছে। রাশিয়ান এফপিভি-ড্রোন দিয়ে চালানো এক হামলায় মার্কিন তৈরি একটি স্ট্রাইকার এবং দুটি হামার সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটন কিয়েভ সরকারকে রাশিয়ার ভ‚খÐে হামলার জন্য পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। তিনি কৌশলগত যোগাযোগের জন্য হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়কারী জন কিরবির একটি মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন, যিনি বলেছিলেন যে, রাশিয়ান ভ‚খÐে ইউক্রেনীয় হামলার অঞ্চল সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
‘এই সব থেকে একটি উপসংহার আছে – কিয়েভ শাসনকে রাশিয়ান অঞ্চলে অপারেশনের জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। অধিকন্তু, (মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো) বাইডেনের প্রশাসন স্পষ্টতই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বিষয়ে কিছু নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। মনে হয় তাকে রাশিয়ার ভ‚খÐের গভীরে হামলা সহ কার্যত যেকোন ধরনের মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য অনুমতি দেয়া হবে,’ তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রমবর্ধমান নীতি আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।’ জাখারোভা বলেন, ‘এর মানে হচ্ছে মার্কিন প্রশাসন য কোন ধরণের নীতি-নৈতিকতা চিরতরে পরিত্যাগ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তারা হারার ঝুঁকিতে রয়েছে, তাই কিয়েভ কার্ড খেলা হবে।