ইউক্রেনের বাইরেও পুতিনের কৌশলী খেলায় চাপে পাশ্চাত্য
দীর্ঘদিনের নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা কয়েক মাস আগে ঘোষণা দেয়, ইউক্রেন তাদের অস্ত্র দিয়ে চাইলে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারে। এর পর থেকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও হুমকির সুরে কথা বলা শুরু করেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
তিনি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য রাশিয়ায় সামরিক মহড়া চালান। পুতিন বলেন, মস্কো তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার কখন ব্যবহার করবে, সে-সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তন করার কথা বিবেচনা করে দেখবে। তিনি ইউরোপের অজ্ঞাত ন্যাটো দেশগুলোকে মনে করিয়ে দেন, তাদের আয়তন ছোট এবং ঘন জনসংখ্যার। ফলে তাদের সহজেই নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব হবে।
গত সপ্তাহে রুশ নেতা তাঁর হুমকিকে বিশ্বের অন্য প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শীতল যুদ্ধ-যুগের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করেছেন এবং সতর্ক করে দিয়েছেন যে তিনি ইউক্রেনকে পশ্চিমের অস্ত্র সরবরাহের প্রতিক্রিয়ায় কিম জং-উনকে অস্ত্র দিতে পারেন।
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা বা ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে আরও ধ্বংস ছাড়াও রাশিয়ান নেতা প্রমাণ করতে চাইছেন, তিনি অন্য উপায়ে এবং অন্যান্য জায়গায় পশ্চিমকে চাপে রাখতে পারেন।
যুদ্ধের শুরু থেকেই পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখতে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আসছেন। পুতিন পিয়ংইয়ংয়ে দেখিয়েছেন, তিনি পারমাণবিক হামলা কিংবা গুলি চালানোর মতো ব্যবস্থা নিতে পারেন। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন থেকে অনেক দূরে গিয়ে এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিচলিত করে তুলতে পারেন।
পিয়ংইয়ংকে অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার সম্ভাবনা পুতিনের শাসনকালের শুরুতেও অকল্পনীয় ছিল। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে তাঁর পররাষ্ট্রনীতি বদলে গেছে।
শুধু উত্তর কোরিয়াই নয়, চলতি মাসের শুরুতে সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ইয়েমেনের হুতিদের অস্ত্র দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। কারণ, তারা সমুদ্রে মার্কিন জাহাজ ও বিমান আক্রমণ করছে। উত্তর কোরিয়া, ইরানসহ আমেরিকার প্রতিপক্ষকে অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি মস্কোর বিশেষজ্ঞরা সাইবার বা মহাকাশ হামলার আশঙ্কা নিয়েও আলোচনা করছেন।