ইউক্রেনের বাফার জোনে বাংলাদেশ ও সৌদি সৈন্য মোতায়েনের পরিকল্পনা!

যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কখনো শান্তি চুক্তি হয়, তাহলে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে একটি বৃহৎ বাফার জোন তৈরি করা হবে। সেটার পর্যবেক্ষণে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এতে মোতায়েন করা হবে ন্যাটোর বাইরে অন্য কোনো দেশীয় সেনা সদস্যদের। তা বাংলাদেশ, সৌদি বা অন্য কোনো দেশ থেকে হতে পারে। তাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করবে।
যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কখনো শান্তি চুক্তি হয়, তাহলে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে একটি বৃহৎ বাফার জোন তৈরি করা হবে। সেটার পর্যবেক্ষণে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এতে মোতায়েন করা হবে ন্যাটোর বাইরে অন্য কোনো দেশীয় সেনা সদস্যদের। তা বাংলাদেশ, সৌদি বা অন্য কোনো দেশ থেকে হতে পারে। তাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেন মিত্রদের সামরিক কর্মকর্তারা যে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন তার সাথে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তি এই তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাফার জোনটি হবে একটি বৃহৎ অসামরিকীকৃত এলাকা। এর সীমানা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে তা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হবে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড বিভক্ত হবে। এখানে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন ও উপগ্রহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গোয়েন্দা ক্ষমতা ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণে নেতৃত্ব দেবে। তবে এটি অন্যান্য দেশের সাথে সমন্বয় করে করা হবে।
সূত্ররা জানিয়েছেন, ‘সৌদি আরব বা বাংলাদেশের মতো এক বা একাধিক নন-ন্যাটো দেশের সৈন্য দ্বারা অঞ্চলটিকে সুরক্ষিত করা যেতে পারে।’ তারা আরো বলেছেন, ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কোনো মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না।
সূত্রদের মতে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টির যেকোনো পরিকল্পনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সম্মত হতে হবে। এক্ষেত্রে ন্যাটোর অংশগ্রহণ, এমনকি তাদের পরামর্শও বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তাই পরিকল্পনাকারীরা ন্যাটো বাহিনী বা ন্যাটো ব্র্যান্ডিংয়ের মতো কিছু ব্যবহার এড়াতে চেষ্টা করছেন। এর পরিবর্তে কিছু গ্যারান্টি সম্ভবত ন্যাটো-বহির্ভূত দেশগুলোর সৈন্যদের উপর এবং ইউক্রেন ও তার মিত্রদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির উপর নির্ভর করবে; যা ন্যাটোর পঞ্চম অনুচ্ছেদকে জড়িত না করেই ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে।
উল্লেখ্য, যেকোনো পরিকল্পনাই অস্থায়ী। এর জন্য পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্মতি লাগবে। সমর্থন লাগবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে জড়িত দেশগুলোর নেতাদের।