ইউক্রেন থেকে ৩০ হাজার সেনা সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া
পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন থেকে রাশিয়া প্রায় ৩০ হাজার সেনাকে কুরস্ক অঞ্চলে সরিয়ে নিয়েছে।
পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন থেকে রাশিয়া প্রায় ৩০ হাজার সেনাকে কুরস্ক অঞ্চলে সরিয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার কিয়েভের কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল ওলেকসান্দর সিরস্কি এ কথা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনীয় ফোরামে সিরস্কি বলেছেন, সীমান্ত অঞ্চলে নতুন করে ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তারা পাল্টা হামলা চালাতে চাচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করছে। তবে রাশিয়ার এমন প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সামনের সারির সেনাদের সরানো হয়েছে, কিন্তু পূর্ব ইউক্রেনের কোন দিক থেকে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। রাশিয়ার পুনরায় সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কুরস্ক আক্রমণ মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যোগ করেন তিনি।
কুরস্কের প্রায় ৫০০ বর্গমাইল অঞ্চল ইউক্রেনের দখলে বলে দাবি করেছে মস্কো। এ ছাড়া রাশিয়ার ১০০টি বসতিও ইউক্রেনের দখলে এবং তাদের হাতে বন্দি প্রায় ৬০০ রুশ সেনা। কিয়েভে এক সম্মেলনে সিরস্কি স্বীকার করেছেন, কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান চালানোর একটি লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে রাশিয়ার সেনা দলগুলোকে সরানো।
এদিকে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার একটি তেল ডিপোতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বুধবার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভের কামেনস্কি জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। গভর্নর বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্কে আগুন লাগার খবর নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে গভর্নর ভ্যাসিলি গোলুবেভ বলেছেন, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দমকল কর্মীরা আগুন নেভাচ্ছেন। ডিপোতে হামলার বিষয়টি উল্লেখ না করেই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভি অঞ্চলে চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট।
এর আগে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত বাজা টেলিগ্রাম চ্যানেল জানায়, এলাকায় দুটি ড্রোন আঘাত হানার পর কামেনস্কি তেল ডিপোর তিনটি ট্যাঙ্কে আগুন ধরে যায়।
অন্যদিকে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনকে হামলার অনুমতি দেওয়া আগুন নিয়ে খেলার শামিল বলে মন্তব্য করেছে মস্কো। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তা কেবল ইউরোপে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, মিত্রদের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে শিথিলতা দেখিয়ে ওয়াশিংটন মূলত খাল কেটে কুমির এনেছে। তাদের কার্যকলাপে ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
৬ আগস্ট রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ করে কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রুশ ভূখণ্ডে এটিই কোনো বিদেশি শক্তির বৃহত্তম হামলার ঘটনা। এই হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।