Bangladesh

ইজতেমায় সংঘর্ষের নেপথ্যে আ.লীগ নেতা ও সমর্থকরা

গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা ময়দার দখল নিয়ে গভীর রাতে তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যার বাদী জুবায়ের পন্থী এক ব্যক্তি, এস এম আলম হোসেন।

মামলার আসামিরা দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারী বলে জানা গেছে। এজাহারে তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কিছু পদধারী নেতাও রয়েছেন।

বুধবার রাতে, দিবাগত রাত ৩টার দিকে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা এক সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়। পরবর্তীতে, বৃহস্পতিবার সকালে এস এম আলম হোসেন নামের বাদী ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন টঙ্গির পশ্চিম থানায়। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকশো জনকে আসামিও করা হয়েছে।

এদিকে, পুলিশের অভিযানে মামলার ৫ নম্বর আসামি মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। মোয়াজ বিন নূর সাদপন্থী তাবলীগ জামাতের একজন শীর্ষ নেতা।

প্রধান আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে, যিনি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

মামলার এজাহারে আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। চার নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ড. এরতেজা হাসানকে, যিনি ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিটের জন্য দৌড়ঝাঁপ করেন।

এছাড়া, হাজী সিকদার নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে, যিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী নাসিরের ভাই হিসেবে পরিচিত।

২০ নম্বর আসামি হিসেবে পল্লবী এলাকার আতাউর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ইলিয়াস মোল্লা ও মানিক কমিশনারের ডান হাত হিসেবে পরিচিত।

টঙ্গির পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর এই মামলা এবং গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button