ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সাত দেশের অর্থনৈতিক জোট জি৭। এই জোটের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আজ ইতালিতে দুই দিনের সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধ।
পাশাপাশি, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাসের সামরিক প্রধানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং ‘লেবানন ও গাজার চলমান সঙ্কটের ওপর এর প্রভাব’ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও যোগ দেবেন। এই সম্মেলনে সভাপতির ভূমিকায় থাকবেন ইতালির আন্তোনিও তাজানি।
সোমবার বিকেলে প্রথম অধিবেশনে মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ সফল করার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
একটি অধিবেশনে আরব লীগের মহাসচিব এবং সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের মন্ত্রীরা যোগ দেবেন।
তাজানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা জি৭ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আঞ্চলিক অংশীদারদের উপস্থিতি কামনা করছি।’
‘এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার সমাধান আনার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার আলোচনা মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে ইউক্রেনের দিকে আগাবে। এই অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিগা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রোম জানিয়েছে, কিয়েভের প্রতি সমর্থন কীভাবে অব্যাহত রাখা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন কর্মকর্তারা। পাশাপাশি, শান্তির উদ্যোগ ও আগামীতে দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে।
বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাসের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা।
ইতোমধ্যে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা আইসিসির এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। অপরদিকে তুরস্ক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে সাধুবাদ জানিয়েছে।
বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, তারা আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতি সম্মান জানাবে। অর্থাৎ ওই দেশগুলোতে নেতানিয়াহু প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।