ইতিহাস গড়ে নিরাপদে পৃথিবীতে ‘পোলারিস ডন’ মিশনের মহাকাশচারীরা
মহাকাশে পাঁচ দিনের মিশন শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন স্পেসএক্সের ‘পোলারিস ডন’ মিশনের চার মহাকাশচারী।
চার মহাকাশচারীকে বহনকারী স্পেসএক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলটি স্থানীয় সময় রোববার ভোররাত ৩টা ৩৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ড্রাই টর্তুগাস উপকূলে অবতরণ করে।
মিশনে প্রথম অপেশাদার ক্রু হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ‘স্পেসওয়াক’ সম্পাদন করেন এক ধনকুবের ও এক প্রকৌশলী। বিশ্বের প্রথম বেসরকারি (প্রাইভেট) তথা বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত এই স্পেসওয়াক সম্পাদনকারীরা হলেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান ও সারাহ গিলিস। এই মিশনের আগে শুধু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মহাকাশ সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই মহাকাশচারীরা ‘স্পেসওয়াক’ করতেন।
জ্যারেড মার্কিন ধনকুবের। ৪১ বছর বয়সী এই উদ্যোক্তা ইলেকট্রনিক পেমেন্ট কোম্পানি শিফট ৪-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। অন্যদিকে সারাহ মার্কিন প্রকৌশলী। তিনি মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের প্রকৌশলী।
জ্যারেড ও সারাহ স্পেসএক্সের ক্যাপসুল (ক্রু ড্রাগন) থেকে বেরিয়ে প্রায় ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ‘স্পেসওয়াক’ করেন। জ্যারেড ও সারাহর পরনে ছিল বিশেষভাবে নকশা করা নতুন পোশাক (স্পেস স্যুট)। তাঁরা প্রায় ১০ মিনিট করে মহাকাশযানের বাইরে কাটান। অভিযানে অংশ নেওয়া বাকি দুজন ক্যাপসুলের ভেতরে ছিলেন।
মহাশূন্যে থাকাকালে মহাকাশযান থেকে বাইরে বের হওয়াকে ‘স্পেসওয়াক’ বলে।