ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা সমর্থন করেন না বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা তিনি সমর্থন করেন না। বুধবার (২ অক্টোবর) সাংবাদিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চান ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলোতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা সমর্থন করেন কিনা। জবাবে বাইডেন ‘না’ সূচক উত্তর দেন। খবর সিএনএন।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করব যে তারা কী করতে যাচ্ছে। তবে সাতটি দেশ (জি-৭) সবাই সম্মত হয়েছে, তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে তবে আনুপাতিক প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এ বিষয়ে তিনি শিগগিরই নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
ইরান মঙ্গলবার ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা বাইডেন ‘অকার্যকর’ বলে দাবি করেন।
তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, মঙ্গলবারের অভিযান ছিল ‘আমাদের ক্ষমতার একটি অংশ মাত্র।’ জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই হামলার জন্য ইরানকে মূল্য দিতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন. ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া সম্ভবত এবার আরও জোরালো হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ প্রতিক্রিয়া ইরানের পারমাণবিক বা জ্বালানি স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
মার্কিন এবং আরব কূটনীতিকদের জন্য একটি বড় ভয় হল ইরানের অভ্যন্তরে পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করে প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রতিরক্ষা কৌশলের সিনিয়র বিশ্লেষক ম্যালকম ডেভিসের মতে, ইসরায়েল সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার দিকে নজর রাখছে। কারণ, এটি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করে।
ডেভিস সিএনএনকে বলেন, ‘অবশ্যই সেই পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণের জন্য নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার ওপর বড় ধরনের চাপ থাকবে। যেন ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বহু বছর পিছিয়ে পড়ে।’