ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প

হামলার বিষয়ে কয়েক মাস আলোচনার পরে সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের সাথে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন।
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল ইসরাইল। তবে সেই পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিবর্তে তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যক্রম সীমিত করার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল মে মাসে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য পিছিয়ে দেয়া।
ইরানের পাল্টা হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করা এবং তেহরানে সফলভাবে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন তেল আবিবের।
হামলার বিষয়ে কয়েক মাস আলোচনার পরে সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের সাথে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন।
গাজা যুদ্ধ, হামাস নেতাদের হত্যা ও লেবাননে ইসরাইলের হামলাকে কেন্দ্র করে গত বছর এপ্রিল ও অক্টোবরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালায় ইরান ও ইসরাইল। এতে এই দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালে জাতিসঙ্ঘ-সমর্থিত ইরানের পরমাণু চুক্তি বাতিল করেন। তিনি তেহরানের বিরুদ্ধে গোপনে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন এবং পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর জবাবে ইরানও চুক্তির শর্ত মানার বিষয়টি কমিয়ে দেয় এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়।
গত মাসে ট্রাম্প হুমকি দেন, ‘চুক্তি না করলে’ ইরানের ওপর বোমা হামলা হবে। এর জবাবে ইরান জানায়, তারা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না।
পাল্টাপাল্টি এমন হুমকির মধ্যেও গত শনিবার ওমানের মাস্কাটে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে প্রথম দফায় আলোচনায় বসেন। আগামী ১৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আবারো বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।