ইসরাইলে বোমার চালানের মাধ্যমে স্থগিতাদেশ তুলে দিচ্ছে আমেরিকা
গাজায় অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরাইলে অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের একাধিক সরকারি কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, শিগগরিই ইসরাইলকে ১ হাজার ৮০০টি বোমার একটি চালান পাঠানো হবে। প্রতিটি বোমার ওজন ৫০০ পাউন্ড বা ২২৬ কিলোগ্রাম। গত এপ্রিলে এই চালানটির ওপরেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।
স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কারণ প্রসঙ্গে এক্সিওসকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, হামাসের পাশাপাশি সম্প্রতি লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গেও তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। মূলত এ কারণেই ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ ফের স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে গাজায় যে অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী, তার অংশ হিসেবে গত মার্চ মাসে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় সেনা অভিযান চালানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে এই পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় সমালোচক ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেনের বক্তব্য ছিল, ইসরাইলি বাহিনী রাফায় অভিযান শুরু করলে বিপুল পরিমাণ প্রাণহানি ঘটবে। রাফায় অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নেতানিয়াহুকে বেশ কয়েবার আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে নেতানিয়াহু নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। তার বক্তব্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি রাফা। তাই হামাসকে চিরতরে নিষ্ক্রিয় করতে হলে রাফায় অভিযান অপরিহার্য।
সে সময়ে বাইডেন প্রশাসন এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ টানাপোড়েন চলার পর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তার একটি চালানে স্থগিতাদেশ দেন বাইডেন। এর মধ্যেই গত মে মাসের শুরু থেকে রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরাইল।