International

ইসরায়েলকে মোকাবিলায় পুরোনো প্রযুক্তি ব্যবহার হিজবুল্লাহর

ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উন্নত ও আধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি এড়াতে পুরোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ একে ইসরায়েলকে ‘অন্ধ’ করার কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন প্রযুক্তির মোকাবিলায় প্রয়োজন পুরোনো পদ্ধতি। 

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং রিমোট সেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করছে। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকে ব্যাহত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে। হিজবুল্লাহ মোবাইল ফোনের পরিবর্তে পেজার ও কুরিয়ার ব্যবহার শুরু করছে, যা তাদের শনাক্ত করা কঠিন করে তুলেছে। এ ছাড়া তারা সাংকেতিক বার্তা এবং পুরোনো টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোনো পদ্ধতিগুলো উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারি এড়াতে কার্যকর হতে পারে। লেবাননের একজন বিশ্লেষক কাসেম কাসির বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতির বিরুদ্ধে পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরতে হবে। 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা হিজবুল্লাহর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালাচ্ছে এবং গোষ্ঠীটির হামলায় বেসামরিক লোকজনের ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছে। ইসরায়েলি হামলার হিজবুল্লাহর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি হয়েছে। যোদ্ধাদের মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ এবং নিরাপত্তা ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি হিজবুল্লাহ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তাদের ড্রোনের মাধ্যমে ইসরায়েলের পর্যবেক্ষণ বেলুনে আক্রমণ করা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, আক্রমণের ফলে কোনো ক্ষতি হয়নি।

এদিকে ইসরাইলের বিমান হামলার মুখে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার কোথাও আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস। 

তিনি বলেছেন, এমনকি তাদের আশ্রয়কেন্দ্র ও হাসপাতলগুলোও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। সোমবার সামাজিক মাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে ব্রাজিল অবশেষে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করেছে, যা ইসরায়েলকে তিরস্কার করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি দেশটির দৃঢ় সমর্থনের প্রকাশ। 

সোমবার এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই চুক্তিটি অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি বাস্তব অবদান। যাতে করে দেশটি প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button