Trending

ইসরায়েলকে ৫৪ পণ্য দেবে না তুরস্ক: গাজায় ত্রাণ পাঠাতে বাধা

অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত, নির্মাণ পণ্য, জেট ফুয়েল ও রাসায়নিক সারসহ ৫৪ ধরণের পণ্য ইসরায়েলে রপ্তানি সীমিত করেছে তুরস্ক। সম্প্রতি তুর্কি সামরিক কার্গো বিমানে করে গাজায় মানবিক সহায়তার কাজে ইসরায়েল বাধা দেওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা দিল আঙ্কারা।

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করা পর্যন্ত এসব পণ্য রপ্তানি সীমিত থাকবে। এছাড়া, কোনো বাধা ছাড়াই ত্রাণসামগ্রী গাজায় প্রবেশের অনুমতি না দিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তুরস্ক। এদিকে এই নিষেধাজ্ঞার জবাবে, তুরস্কের পণ্যগুলোর ওপরও রপ্তানি বাধা দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। খবর আরব নিউজের।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, গাজার ক্ষুধার্ত মানুষকে আকাশপথে সাহায্য দিতে চেয়েছিল তুরস্ক। কিন্তু তাতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল। অথচ এই বাধার পেছনে তাদের কোনো অজুহাত নেই।

এদিকে, ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্য বন্ধ করতে দেশে চাপে রয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সরকার। সমালোচকদের দাবি, লাভজনক বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ তুলছে সরকার, যা দ্বৈতনীতি। অবশ্য, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র বিরোধীতা করে আসছেন এরদোয়ান।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, এরদোগান গাজায় হামাস সদস্য খুনিদের সহায়তা করতে আবারও তুরস্কের জনগণের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছেন। কাটজ বলেন, তুরস্কে বিনিয়োগ বন্ধ করতে এবং তুর্কি পণ্য আমদানি করা থেকে বিরত থাকতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ঝুঁকি গোয়েন্দা সংস্থা ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফটের সিনিয়র বিশ্লেষক হামিশ কিনার বলেন, রপ্তানি সীমিত করার মাধ্যমে তুরস্কের বাণিজ্য যতটুকু ক্ষতিগ্রস্তই হোক না কেন, তা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার জন্য জরুরি- এমনটা হয়তো হিসাব করেছে তুরস্কের সরকার। হামিশের মতে, প্রতিশোধ হিসেবে যদি ইসরায়েল নিজস্ব বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপ করে তাহলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্ষতিতে পড়বে।

তুরস্কের পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইসরায়েলে আঙ্কারার রপ্তানির পরিমাণ ৫৪০ কোটি ডলার।

দীর্ঘ সময় সম্পর্ক খারাপ থাকলেও অবশেষে ২০২২ সালে আঙ্কারা ও তেল আবিব রাষ্ট্রদূত নিয়োগের মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছি। যদিও গাজায় গত ৬ মাসের আগ্রাসন ও গণহত্যাকে ঘিরে তুই দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা চলছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button