ইসলামবিদ্বেষের উদ্বেগজনক বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জাতিসঙ্ঘ প্রধানের

গাজায় ইসরাইলের ১৭ মাসব্যাপী যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জাতিসঙ্ঘ ও বিশ্বজুড়ে অধিকার গোষ্ঠীগুলো ইসলামবিদ্বেষ, আরব-বিরোধী পক্ষপাত ও ইহুদি-বিদ্বেষ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছে।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইসলামবিদ্বেষের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপ্রধানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষ প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গুতেরেস এ মন্তব্য করেন।
গাজায় ইসরাইলের ১৭ মাসব্যাপী যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জাতিসঙ্ঘ ও বিশ্বজুড়ে অধিকার গোষ্ঠীগুলো ইসলামবিদ্বেষ, আরব-বিরোধী পক্ষপাত ও ইহুদি-বিদ্বেষ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছে।
জাতিসঙ্ঘের প্রধান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা মুসলিম-বিরোধী গোঁড়ামির এক উদ্বেগজনক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি। এটি মানবাধিকার ও মর্যাদাকে লঙ্ঘন করা জাতিগত প্রোফাইলিং ও বৈষম্যমূলক নীতি থেকে শুরু করে ব্যক্তি ও উপাসনালয়ের বিরুদ্ধে সরাসরি সহিংসতা।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি অসহিষ্ণুতা, চরমপন্থী মতাদর্শ, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণের একটি বিস্তৃত অভিশাপের অংশ।’
তিনি নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করেই সরকারগুলোকে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার আহ্বান জানান।
এদিকে, জাতিসঙ্ঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল মোরাটিনোস বলেছেন, ‘মুসলিমরা প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও আর্থ-সামাজিক বিধিনিষেধের সম্মুখীন হচ্ছে।’
মুসলিম ও আরবদের যে বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয় তা নিয়ে বহু বছর ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, অধিকার পর্যবেক্ষকরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ অন্যান্য দেশে ইসলামবিদ্বেষী হামলার ঘটনা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের রেকর্ড স্তরের তথ্য প্রকাশ করেছে।