Hot

উন্নয়ন যাত্রা থমকে আছে

৮৯ উন্নয়ন প্রকল্পে কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি হাসিনা রেজিমে নেয়া ১২১টি প্রকল্পের কাজে কোনো অগ্রগতি নেই, মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত শেষ করার প্রত্যাশা থাকবে -ড. মোস্তফা কে মুজেরী ফাস্টট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পগুলো নিয়ে আলাদা সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই :আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন পর দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসে। সবার আশা ছিল ড. মুহাম্মদ ইউনুসের পরিচিতি ও দক্ষতা দিয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে আসবেন। শুরুতে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সে রকমও ইঙ্গিতও এসেছিল। বিশেষ করে জাতিসংঘের অধিবেশনে নিউইয়ূর্কে ড. ইউনূসকে ঘিড়ে বিশ্বনেতারা উচ্ছাস দেখিয়েছে। সে সময় মিলেছিল বড় অঙ্কের প্রতিশ্রুতির। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত বিদেশ থেকে প্রতিশ্রুতির কোন অর্থই দেশে আসেনি। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগ তো আসেইনি। বরং আগামী দিনে যে আসবে সে ইঙ্গিত নেই। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিনিয়োগে আস্থা পাচ্ছেন না। নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে না। বরং কারখানা বন্ধ হয়ে বেকারত্বের তালিকা বড় হচ্ছে। রেমিট্যান্সে সরকারের কোনো কৃতত্ব নেই। প্রবাসীরা নিজেরাই স্বউদ্যোগে পাঠাচ্ছেন। আবার অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফন্দিফিকির করছেন। ফলে নির্বাচিত সরকার ছাড়া বিনিয়োগ আসা দূরহ। আর তাই থমকে যাচ্ছে দেশের উন্নয়ন যাত্রা। এদিকে চলতি মাসের শেষে আগামী ২৮ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তাই বন্ধু প্রতিম দেশটির সঙ্গে আগের প্রতিশ্রুত এবং নতুন করে বিনিয়োগ নিয়ে বিশেষ আলোচনার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, চীন সবসময়ই আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বেগবান করে উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে। চীনের সঙ্গে তিস্তা, ইস্টাব্লিসমেন্ট অব ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’সহ (ইএসডি) জনগুরুত্বপূর্ণ একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি থাকলেও দীর্ঘদিন এসব প্রকল্প নিয়ে কোন ধরণের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নেই। তাই প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফরে এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন চীন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে করা চুক্তি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন করে কোনো ঋণ সহায়তার চুক্তি হয়নি বাংলাদেশের। এ সময় আগে প্রতিশ্রুত ঋণের অর্থ ছাড় হয়েছে ২৭ কোটি ডলারের কিছু কম। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে চীন সফরে গিয়েছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। সে সময় তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল চীনের কাছ থেকে ২০ বিলিয়ন (২ হাজার কোটি) ডলারের ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে। যদিও সে সময় দেশটি থেকে ঋণ সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেছে মোটে ১ বিলিয়ন ইউয়ানের (বর্তমান বিনিময় হারে প্রায় ১৪ কোটি ডলার)। গত দুই অর্থবছরে এটিই ছিল চীনের কাছ থেকে পাওয়া একমাত্র ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি, সেটিও আনুষ্ঠানিক নয়, মৌখিক। আওয়ামী লীগের পতনের পর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে চীনের পক্ষ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তার আশ্বাস পাওয়ার কথা জানানো হয়। যদিও এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চুক্তি সই হয়নি। এ অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন সফরে দেশটির কাছ থেকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন অনেকেই। আবার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভূরাজনীতির পর্যবেক্ষক, অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার না আসার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল মনোভাব প্রদর্শন করতে পারে চীন।

স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল আট হাজার ৮২১ কোটি টাকার মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দের ৫৮৬ কোটি টাকার মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। প্রকল্পটির কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। শুধু এই প্রকল্পই নয়, গত অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ৮৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করেনি, যার জন্য দুই হাজার ৬২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আর গত অর্থবছরে ১২১টি প্রকল্পের কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগের আমলে নেওয়া বিদ্যুতের ৪৩টি প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বতীকালীন সরকার। জানা গেছে, এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা ৩৬৩০ মেগাওয়াট। বাতিলের তালিকায় ১২টি রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। অথচ কিছু প্রকল্প বাদ দিলে অধিকাংশ প্রকল্পই প্রয়োজনীয়। এদিকে প্রকল্প বন্ধ রেখে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকার কমানো হয়েছে। এবার কমল ৪৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়াল ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। এর আগে কখনো এডিপি এতটা কাটছাঁট করা হয়নি। যা দেশের স্বাভাবিক উন্নয়ন কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাঙ্খিত হারে বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর আকার কমানো হয়। সংশোধিত এডিপি প্রণয়ন করতে গিয়ে দেশীয় উৎসের অর্থ কমেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি সহায়তা কমেছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। এখন সংশোধিত এডিপিতে দেশীয় উৎসের অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি সহায়তা ধরা হয়েছে ৮১ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজই শুরু হয়নি এ রকম প্রকল্পও রয়েছে। অথচ এই একটি প্রকল্পের সঙ্গে ওই এলাকা এবং পাশর্^বর্তী একাধিক এলাকার ভাগ্য বা উন্নয়ন জড়িত। সূত্র জানিয়েছে, সরকারি বরাদ্দ পেলেও জামালপুর সদরসহ সাত উপজেলার টিআর (টেস্ট রিলিফ), কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ও কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের কোনো কাজ এখনও শুরুই হয়নি। অথচ প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে গত শনিবার। গ্রামীণ অবকাঠামোর এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জামালপুরের সাত উপজেলায় কাবিটা প্রকল্পের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে ১২ কোটি ২০ লাখ ৭৫ হাজার, টিআর প্রকল্পের জন্য ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ও কাবিখা প্রকল্পের জন্য ৮৭৫ টন চাল এবং ৮৭৫ টন গম বরাদ্দ আসে। নগদ টাকা এবং চাল ও গমের মূল্যসহ বরাদ্দের মোট টাকার পরিমাণ প্রায় ৩৩ কোটি। এসব কাজের মেয়াদ শেষ হয় শনিবার। অথচ জেলার কোথাও কোনো প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু না হওয়ায় সহস্রাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তার মুখে। অবশ্য শুধু ছোট এসব প্রকলেই নয়; অধিকাংশ প্রকল্পের কাজই স্থবির।

এসব প্রকল্পের কাজ মাঝপথে থমকে গেলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে দেশ। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ নগর পরিকল্পনাবিদদের। নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আকতার মাহমুদ বলেন, প্রকল্পগুলোকে শেষ করতে হবে। কারণ প্রকল্পগুলো শুরু হয়েছে, এগুলো শেষও হওয়া প্রয়োজন। আর শেষ না হলে আমাদের আর্থিক একটা অপচয় হতে পারে। আর যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু ছোট প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়লেও বড় প্রকল্প শেষ হতে কোন বাধা নেই।

এদিকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আট মেগা প্রকল্পকে ফাস্টট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। পাশাপাশি প্রকল্পগুলো তদারকি বাড়াতে গঠিত হয় ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গুরুত্ব হারিয়েছে এসব অগ্রাধিকার প্রকল্প। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফাস্টট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পগুলো চালু রাখার বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দিলেও কার্যত প্রকল্পগুলো এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্ধ না হলেও গুরুত্ব কমেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাস্টট্র্যাকভুক্ত মেগা প্রকল্পগুলো।

ফাস্টট্র্যাকভুক্ত মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আগে তিন মাস পর পর মনিটরিং কমিটির বৈঠক হতো। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে এ নিয়ে কোন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। নেই কোনো পর্যালোচনাও। প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনাও দেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। তদারকিও গেছে কমে। সাধারণ অন্য প্রকল্পগুলোর মতোই বাস্তবায়ন হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ ফাস্টট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পগুলো। অর্থ ছাড়েও নেই গতি। অথচ বেশিরভাগ প্রকল্পই বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে, তবে এখন দেখা দিয়েছে ধীরগতি।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, ফাস্টট্র্যাকভুক্ত ৮টি প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। চলমান সাতটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ এবং দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। ফাস্টট্র্যাকভুক্ত ৭ প্রকল্পের মধ্যে কয়েকটির কাজ পুরোপুরি সমাপ্তির পথে। বাকিগুলোও বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। প্রকল্পগুলোর আওতায় খরচ হয়েছে মোট বরাদ্দের ৭৮ দশমিক ১৬ শতাংশ অর্থ। এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায় একটি রেল প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্প থেকে বাদ গেছে রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ অংশের নির্মাণকাজ। প্রকল্পটির রামু-ঘুমধুম অংশ বাস্তবায়নে এডিবির অর্থায়নে অপারগতা এবং মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ট্রান্স এশিয়ান রেল সংযোগ স্থাপন আপাতত সম্ভব নয় বলে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ফাস্টট্র্যাকভুক্ত মেগা প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ফাস্টট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে আলাদা করে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এগুলোর বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। তবে আগের মতো অগ্রাধিকার পাচ্ছে না, গুরুত্বও কিছুটা কমেছে। কারণ, আগের মতো প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির কোনো বৈঠকও হচ্ছে না।

বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া এবং কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বর্তমান সরকার। সে ক্ষেত্রে আগের সরকারের আমলে নেওয়া অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পগুলোর বিষয়ে গুরুত্ব কম পেতে পারে। তবে প্রত্যাশা থাকবে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন কাজ দ্রুত শেষ করা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto