Trending

উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১.৩ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তার প্রত্যাশা সরকারের

গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সর্বশেষ বাজেট সহায়তার পরিমাণ ছিল ২.০৩ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে অন্তত ১.৩ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা প্রত্যাশা করছে নতুন অন্তবর্তী সরকার।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী প্রাথমিক আশ্বাস দিয়েছে। অর্থ বিভাগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এই তহবিলগুলি সুরক্ষিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

ইআরডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে (এডিবি) ৪০০ মিলিয়ন ডলার, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলার এবং কোরিয়ার সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তার আলোচনা চলছে।

কর্মকর্তা বলেন, “উন্নয়ন সহযোগীরা বাজেট সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত। তবে চূড়ান্ত অর্থের পরিমাণ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে”

তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের শুরুতে প্রথমে ১.২বিলিয়ন ডলারে বাজেট সহায়তা নেওযার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। কিন্ত রিজার্ভ পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত বাজেট সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে ২.০৩ বিলিয়ন ডলার করা হয়েছিল।

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উন্নয়ন সহযগীদের কাছ থেকে মোট ১৩.১২ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা নিয়েছে বাংলাদেশ।

মূলত কোভিড মহামারী পরবর্তী সময়ে টিকা কেনা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সরকারের বাজেট সহায়তার পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার বাজেট সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করে। 

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১.৭৬৯ বিলিয়ন ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২.৫৯৭ বিলিয়ন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পেয়েছিল।।

বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, কোরিয়া

ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, দ্বিতীয় ‘বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় বিশ্বব্যাংক থেকে চলতি অর্থবছরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়া যাবে।

এই তহবিল পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্থানীয় সরকার, পরিকল্পনা কমিশন, স্বাস্থ্য পরিষেবা, অর্থ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পর্কিত পরিবেশগত সংস্কার কর্মসূচিকে সহায়তা করবে।

এছাড়াও, “এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ” কর্মসূচির অধীনে বাজেট সহায়তার বিষয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই সহায়তা সুরক্ষিত করার জন্য সরকারকে অবশ্যই লজিস্টিক উন্নয়নে কিছু উদ্যোগ সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে, যেমন সমুদ্রের কন্টেইনার পরিবহন বাড়ানো

এআইআইবি, আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য ওপেক তহবিল (ওএফআইডি) এবং কোরিয়াও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো একই শর্তে বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button