একটি-দুটি নয়, রয়েছে আরও ৫০০০ ‘পৃথিবী’! কোথায় জানেন?

আকাশের দিকে মুখ তুলে চাইলেই অধিকাংশ মানুষ সম্ভবত একটি কথাই সর্বাগ্রে ভাবেন– মানুষ কি এই মহাবিশ্বে সম্পূর্ণ একাকী? জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বহুদিনের গবেষণায় মহাকাশের অনেক রহস্যভেদই করেছেন। আবিষ্কার করেছেন নানা গ্রহ-গ্রহাণু ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের সৌরজগতে বা তার বাইরে নিশ্চিত ভাবে প্রাণের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
তবে নাসা এক অসাধারণ কাজ করেছে। তারা এই বিপুল মহাবিশ্বে পৃথিবীর মতো (Earth-like) অন্তত ৫০০০টি মহাজাগতিক বস্তু (গ্রহ) আবিষ্কার করেছে। সম্প্রতি তারা ৬৫টি নতুন গ্রহ আবিষ্কার করেছে। আর আগের করা আবিষ্কারের মোট সংখ্যা মিলিয়ে সেটা ৫০০০-য়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
এরকম কত গ্রহ-গ্রহাণু, মহাজাগতিক বস্তু তো থাকতে পারে মহাকাশে। তা নিয়ে মানবসভ্যতা কেন উদ্বেলিত হবে? হওয়ার কারণ আছে। আবিষ্কৃত বস্তুগুলি পৃথিবী না হলেও এগুলিকে ‘আর্থ-লাইক প্ল্যানেট’ তকমায় দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন আর্থ-লাইক? কারণ, বিজ্ঞানীদের অনুমান, এগুলিতে থাকতে পারে জল, অনুজীব, গ্যাস এমনকী প্রাণকণাও! আকারে প্রকারে এগুলির রকমফেরও আছে– কোনওটি ‘সুপার-আর্থ’, যেগুলি আমাদের পৃথিবীর চেয়ে ঢের বড়, কোনওটি আবার ‘মিনি-নেপচুন’, যেগুলি নেপচুনের চেয়ে ছোট।
ধারণা করা বা পাওয়া যথেষ্ট কঠিন। তবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দেখিয়েছে একটি সিঙ্গল ফ্রেমে হাজার হাজার গ্যালাক্সি! ফলে এখনও যে অনেক অনেক নতুন নতুন পৃথিবী আবিষ্কারের অপেক্ষায় তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।