Bangladesh

এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দাদনের টাকার জন্য নারী শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অ‌ভি‌যোগ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে

অভিযোগ পাওয়া গেছে। দাদনের টাকার জন্য ঘর থেকে ধরে এনে রাস্তায় ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

রোববার (৬ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত বিলকিস বেগম ইটখলা শ্রমিক আব্দুল করিমের স্ত্রী।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার নাম নূরে আলম। তিনি গুণধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পালাতক রয়েছেন।

নিহতের পরিবার সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিলকিস বেগমসহ তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামে ইটখলায় কাজ করতেন। বর্ষাকালে ইটখলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারটি সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসে। নূরে আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটখলায় শ্রমিক সরবরাহ করেন। বিলকিস বেগমের স্বামী আব্দুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা তিনি পরিশোধও করেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এই টাকার জন্য আজ দুপুরে নূরে আলম বিলকিসের বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম বাড়ি ছিলেন না। 

পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় নূরে আলমের। একপর্যায়ে নূরে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে বিলকিস বেগমকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। সেখানে নূরে আলম লাঠি দিয়ে বিলকিসকে মারধর করেন। নূ‌রে আলম প্রভাবশালী হওয়ায় ওই নারী‌কে রক্ষা করতে কেউ ভয়ে এগিয়ে যাননি।
 
গুণধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়েম রাসেল ভূঁইয়া জানান, দাদনের টাকার জন্য এক নারীকে মারধর করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। পরে জানতে পেরেছি ওই নারী মারা গেছেন। 

নূরে আলম গুণধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিশ্চিত করেছেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নূরে আলমের ভাই সুজন মিয়াকে স্থানীয় মরিচখালি বাজার থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button