Hot

এক দশকে সবচেয়ে কম ভোট, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে গড়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে গড়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ। গত একদশকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের হার সবচেয়ে কম। ২৫ শতাংশের কম ভোট পড়েছে ১৩ উপজেলায়। ৬০ শতাংশের ওপরে ভোট পড়েছে আট উপজেলায়।

নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ১৫ উপজেলায়। কোনো উপজেলায় মাত্র ২০০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন প্রার্থী। এ ছাড়া তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি ৬৩ উপজেলায়। এসব উপজেলায় বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ১০ হাজারের বেশি। ৩১টি উপজেলায় ভোটের ব্যবধান ৩ হাজারের কম। ১৫ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বেশি। এসব উপজেলায় ভোটের ব্যবধান ১ হাজারের কম। চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধান হয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায়। প্রথম ধাপের ফলাফল বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে। এই হিসাবে গত এক দশকের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের হার এবারই সবচেয়ে কম।

নির্বাচন কমিশন-ইসি বলছে, বৈরী আবহাওয়া ও ধান কাটা মৌসুমসহ নানা কারণে ভোটার উপস্থিতি প্রত্যাশিত হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, সব দলের অংশগ্রহণে ভোট না হওয়ায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসার উৎসাহ হারাচ্ছেন। তাছাড়া মানুষের মধ্যে এখন ভোট দেওয়ার আগ্রহ অনেক কমে গেছে। এর পেছনে একটি নয়, অনেক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বড় একটি কারণ হচ্ছে, সব দলের অংশগ্রহণে ভোট হলে এক ধরনের পরিবেশ থাকে, ভোটারদের উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে। যেহেতু সব দলের অংশগ্রহণে ভোট হচ্ছে না, তাই ভোটার কম আসছে।

গতকাল নির্বাচন ভবনে এ বিষয়ে অন্যতম নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইভিএমে ভোটের হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ, ব্যালটে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। তিনি জানান, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সোনাতলা, মিরসরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।

দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে বুধবার এ ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। তবে চেয়ারম্যান পদে দুই উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি, তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই ধাপে ২১টি উপজেলায় ইভিএম ও বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হয়। অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে এদিন দুটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়। অনিয়মের চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয় ৩৭ জনকে। ভোটের সময় খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ কিছু এলাকায় হুমকি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার তথ্য সংবাদমাধ্যমে আসে। ভোট শেষে নির্বাচন ভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিইসি বলেন, নির্বাচন ভালোভাবে হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কিছু সংঘর্ষ, আহতের ঘটনা ঘটেছে; কয়েকটি কেন্দ্রে সীমিত পর্যায়ে অনিয়ম হয়েছে। যার কারণে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। ভোটের হার গড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মাঝামাঝি থাকতে পারে আভাস দিয়ে সিইসি বলেছিলেন, নানা কারণে কম ভোটার হয়েছে কেন্দ্রে; তবে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়লে ভালো হতো।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d