এক দশক পর নির্বাচন, জম্মু-কাশ্মিরে ভোটগ্রহণ শুরু
স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে। বুধবার প্রথম দফার ২৪ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এক দশক পরে জম্মু ও কাশ্মিরে আবার বিধানসভা ভোট হচ্ছে। তবে ২০১৪-র মতো পূর্ণ রাজ্য নয়, ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে বিশেষ মর্যাদা খোয়ানোর পাশাপাশি রাজ্যের তকমাও হারিয়েছে জম্মু ও কাশ্মির। ফলে এই বিগত ১০ বছরে অনেক কিছু পাল্টে গেছে উপত্যকার রাজনীতিতে।
নির্বাচনের কারণে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকা। বিগত কয়েক দিন ধরে বার বার উগ্রবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মিরে। ওই কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা সাজিয়েছে প্রশাসন। সশস্ত্র আধা সামরিক বাহিনী (সিএপিএফ) থেকে শুরু করে জম্মু ও কাশ্মিরের পুলিশ- নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সাজানো হয়েছে বহু স্তরে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ জন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার কথা বলেছে কমিশন। একইসাথে ভোটদানে সর্বাধিক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় তারা। সেই মতো একাধিক পদক্ষেপও করেছে কমিশন এবং পুলিশ। যেখানে যেখানে ভোট, সেই সব এলাকায় চলছে রুটমার্চও।
জম্মু-কাশ্মিরে তিন দফা নির্বাচনের বুধবারই প্রথম দিন। প্রথম দফায় মোট ২৪ আসনে ভোট নেয়া হচ্ছে। তার মধ্যে জম্মুতে আটটি এবং কাশ্মিরে ১৬ আসন রয়েছে। প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কুলগামের সিপিএম প্রার্থী মোহম্মদ ইউসুফ। ডুরুতে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে গুলাম আহমেদ মীরকে। এ ছাড়াও, ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সাকিনা ইতু, পিডিপির সারতাজ মাদনি, ইলতিজা মুফতিসহ আরো অনেকের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন জম্মু ও কাশ্মিরের মানুষ। পুলওয়ামা, শ্রীগুফওয়াড়ার মতো কেন্দ্রের দিকেও নজর রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬ আসনে এবং ১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে জম্মু ও কাশ্মিরে। গণনা আগামী ৮ অক্টোবর।