এটা কি পরিকল্পিত নৃশংসতা?

বর্বর। পৈশাচিক। নির্মম পাষন্ডতা। কোন শব্দেই এই ঘটনার নিষ্টুরতা প্রকাশ করা কঠিন। রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ-বাকরুদ্ধ পুরোদেশ। তোলপাড় চলছে সর্বত্র। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল ও সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্যে এমন নারকীয় ঘটনার দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত মানুষ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দুদিন পর ভিডিও এবং খবর প্রকাশ ঘিরেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর এ নিয়ে তোলপাড় হলেও তার আগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো ভূমিকা না থাকাকেও রহস্যজনক মনে করা হচ্ছে। অনেকে প্রশ্ন করছেন, দুদিন কি করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া কারা ঘটনার ভিডিও ছড়িয়েছে সেই সূত্র খোঁজারও দাবি করেছেন কেউ কেউ। শুক্রবার রাতে ঘটনার খবর ও ভিডিও ব্যাপক আকারে প্রকাশের পর বিভিন্ন দল তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে নানা স্থানে। ইতোমধ্যেই পুলিশ ও র্যাবের তৎপরতায় আসামীদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই আসামী মহিন ও তারেককে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে র্যাব মামলার আরও ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবারের ওই ঘটনা নিয়ে প্রথমে কোনো আলোচনা না থাকলেও ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। গতকাল সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ মানবজমিনকে ২ আসামী গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী মাহিন ও তারেক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়ে স্বীকার করে জানিয়েছে, ভাঙারির ব্যাবসায়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। রাতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পক্ষ থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় র্যাব জানায়, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথরের আঘাতে হত্যা মামলার ২ আসামিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে দেখে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
ঘটনার সুত্রপাত যেভাবে: পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে গেল বুধবার সন্ধ্যায় নিহত সোহাগের প্রায় বস্ত্রহীন রক্তাক্ত দেহ ফটকের ভেতর থেকে টেনে বের করতে দেখা যায় দুই যুবককে। এর মধ্যে একজন তার গালে চড় মারছে, আরেকজন এসে ওই ব্যক্তির বুকের ওপর লাফাচ্ছিলো। কিছুক্ষণ পর আরেকজন এসে একই কাজ করছে। কেউ এসে তাঁর মাথায় লাথি মারছিলো। এক পর্যায়ে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরেই পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা। এ ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে কম্পাউন্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এরপর নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে কম্পাউন্ডের বাইরের সড়কে এনে শত শত মানুষের সামনে চলে উন্মত্ততা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে, এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে এমন ভয়ঙ্করভাবে কাউকে হত্যা করা হতে পারে, তা পরিচিতজনদের ধারনার বাহিরে।
ওই এলাকার একজন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবসায়ী বলছেন, পুরনো তারের ব্যবসার একটি বড় সিন্ডিকেট সেখানে রয়েছে, যার নিয়ন্ত্রণ করতেন সোহাগ। গ্রেপ্তার মহিন তার দলবল নিয়ে ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই চেষ্টায় তারা সোহাগের গোডাউনে তালা মেরে দেয়। তাদের মধ্যে এটা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়। জড়িতদের কয়েকজন স্থানীয় যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত। সোহাগও এক সময় যুবদল করতেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার ১৯ আসামির মধ্যে দুজন যুবদলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরে নেতা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা যাদের গ্রেপ্তার করেছি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এখনো কনক্লুসিভলি বলার মত তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা শুধু জানি যে সেখানে নৃশংস একটা ঘটনা ঘটেছে। অনেকের কাছে ভিডিওটা আছে। আমরা জানার চেষ্টা করছি এই হত্যার মোটিভটা কী, কেন এভাবে হত্যা করা হল। ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ভিডিও সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) এবং তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে।
রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচজন বহিষ্কার: ঘটনার ভিডিও ফুটেজে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যাঁদের দেখা গেছে, তাদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাদের সংগঠন থেকেও আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল পুরান ঢাকার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে। তারা হলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু) ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস, মাহমুদুল হাসান মাহিন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃত নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতা অপু দাসের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।এছাড়া মাহমুদুল হাসান মাহিন ২০১৮ সালের পূর্বে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কোন কার্যক্রমে জড়িত নেই। মাহিনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে রোমহর্ষক ও নৃশংসতম বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো দুষ্কৃতকারীর অপরাধের দায় দল নেবে না। আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যাদের দেখা গেছে, তাদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাদের সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলের নিন্দা: ব্যবসায়ী যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার নিন্দা, প্রতিবাদ ও শোক জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই ঘটনাটির অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করুন এবং প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। আমি নিহত ব্যক্তির রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শুক্রবার রাতে এক নিন্দা, প্রতিবাদ ও শোক বিবৃতিতে তিনি এ সব কথা বলেন।
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রকাশ্য দিবালোকে মাথায় পাথর মেরে শত শত মানুষের সামনে এই হত্যার ঘটনা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। এই নির্মম দৃশ্য জাহেলিয়াতের লোমহর্ষক নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতাকেই যেন স্মরণ করিয়ে দেয়। পাশবিক এই হত্যার ঘটনায় মানুষ বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এভাবে পাশবিক কায়দায় মানুষ হত্যা সভ্য সমাজে বিরল।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৯ জুলাই বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মো. সোহাগ নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথায় পাথর মেরে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যা করে তারা শুধু সোহাগকে উলঙ্গই করেনি, তাঁর লাশের ওপর নৃত্য করে আনন্দ উল্লাসও করেছে।’
পুরান ঢাকায় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণসংহতি আন্দোলন। শুক্রবার দল দুটি বলেছে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এই নৃশংসতার রাজনীতি আর চলতে পারে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক বিবৃতিতে বলেন, গত বুধবার বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে যেভাবে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নির্মম ও ভয়ংকর। এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে মন্তব্য করে এ দুই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এই নৃশংসতার রাজনীতি আর চলতে পারে না। বাংলাদেশ থেকে চিরতরে এই আতঙ্ক তৈরির রাজনীতি বন্ধ করার জন্য এই নৃশংস ঘটনার অবিলম্বে বিচার প্রয়োজন।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, সোহাগ হত্যার ভিডিও কতটা ভয়াবহ, নির্মম ও নিষ্ঠুর, তা ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়। এই নেতাকে উদ্ধৃত করে ইসলামী আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে, ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যার মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়েছে। ইমতিয়াজ আলম বলেন, পুরান ঢাকার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কর্তৃক সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বিএনপি যদি তাদের সন্ত্রাসীদের থামাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর পরিণাম শুভ হবে না।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ: মিটফোর্ডে হত্যাকান্ডকে নৃশংস এবং বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বিবেচনা করে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়ায় এক বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। যা ভিসি চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। একই সময় বিক্ষোভ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রাত ৮টায় চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।