USA

এবার দলের ভেতরেই বড় ধাক্কা খেলেন বাইডেন

চলতি বছরের ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রধান দুই দলের দুই প্রার্থী। তারা হলেন- ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে সম্প্রতি বাইডেনের প্রার্থিতা নিয়ে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। খোদ দলের নেতারাই তার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নিজ দলের ভেতর থেকে বড় ধাক্কা খেলেন বাইডেন। বুধবার দলের হেভিওয়েট নেতা ন্যান্সি পেলোসি এবং জর্জ ক্লুনি বাইডেনের পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এই দুই নেতা দলের অন্যান্য আইনপ্রণেতা, দাতা এবং সিনেট ডেমোক্রেটদের প্রভাবিত করতে পারেন।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে ধরাশায়ী হন বাইডেন। বিতর্ক চলাকালে বাইডেন একাধিকবার কথার মাঝখানে থেমে গিয়েছিলেন। তিনি অনেক সময় বাক্যও সম্পূর্ণ করতে পারেননি। ৮১ বছরের বাইডেনকে অনেকেই শারীরিক ও আইকিউ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। দলের ভেতর থেকে অনেকেই বাইডেনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বাইডেন সাফ জানিয়েছেন, তিনি সরছেন না, নির্বাচনে থাকছেন। এমনকি তিনি বলেছেন, একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া কেউ তাকে নির্বাচন থেকে নিবৃত করতে পারবেন না।

প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার এবং বাইডেনের দীর্ঘদিনের সহযোগী ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ২০২৪ সালের হোয়াইট হাউসের নির্বাচনে থাকবেন কিনা তা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাইডেনকে।

হলিউড তারকা ক্লুনি নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা মতামতে বাইডেনের প্রতি তার সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং বলেছেন, ২০২০ সালের বাইডেন আর ২০২৪ সালের বাইডেন এক ব্যক্তি নন।

তিনি লিখেছেন, “আমরা এই প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নভেম্বরে জিততে যাচ্ছি না। তার উপরে, আমরা হাউস জিতব না এবং আমরা সিনেট হারাতে যাচ্ছি।”

সিনেটর পিটার ওয়েলচ বুধবার রাতে এক লেখায় বাইডেনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনিই প্রথম ডেমোক্রেটিক সিনেটর যিনি স্পষ্টভাবে প্রেসিডেন্টকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ব্যক্তিগতভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বাইডেন ছাড়া দলের অন্য কোনও প্রার্থীর প্রতি তার সমর্থন থাকবে।

দলের একজন প্রধান দাতা জানিয়েছেন, ডেমোক্রেটিক নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন- তারা ন্যাটো সম্মেলনের পরে বাইডেনের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করবেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button