এবার মার্কিন শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার ইচ্ছা ট্রাম্পের
এবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ধনকুবের ইলন মাস্ককে দেওয়া বহুপ্রতীক্ষিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ওই আগ্রহের কথা জানান। নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টার
বেশি সময় পর সাক্ষাৎকারটির সরাসরি প্রচার শুরু হয়। বলা হচ্ছে, সাইবার হামলার জেরে এ বিলম্ব ঘটে। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও আক্রমণ করে বক্তব্য দেন। বক্তব্য দেন আরও কিছু বিষয়ে। মার্কিন ফেডারেল শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করা উচিত মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করতে চাই। শিক্ষাকে অঙ্গরাজ্যগুলোতে ফিরিয়ে দিতে চাই।
কমলা হ্যারিসকে নিয়েও ফের ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কমলার নির্বাচনী সমাবেশে লোকসমাগম নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে রিপাবলিকান শিবির। খবর আলজাজিরা, বিবিসি ও এএফপির।
ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে তাদের সমবয়সী শিক্ষার্থীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছেন।’ শিক্ষা বিভাগকে বিলুপ্ত করা হলে ‘অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে’ উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এতে শিক্ষা খাতে খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। ট্রাম্পের দাবি, তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের রানিং মেট মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এমন একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে পাবলিক বিদ্যালয়গুলোতে ছেলেদের শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ওই আইন গত বছর থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে এ আইনে ছেলেদের, না মেয়েদের শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখতে হবে, তার উল্লেখ নেই। শুধু বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীর প্রয়োজন হবে, তাদের জন্য এটি সহজলভ্য করতে হবে। রিপাবলিকান পার্টি এ আইনের কড়া সমালোচনা করেছে এবং ওয়ালজকে ‘ট্যাম্পন টিম’ আখ্যা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়ালজ এ ডাকনামকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন। বলেছেন, মেয়েদের মাসিকের পণ্য সহজলভ্য করার কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত।
কমলা হ্যারিস আরও বেশি ও দীর্ঘ সাক্ষাৎকার না দেওয়ায় তার সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে কমলা কোনো দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না।
ট্রাম্প বলেন, ‘এমন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াটা মজার বিষয়।’ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না বা কোনো সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন এটা চিন্তা করা কষ্টের।
ইতোমধ্যে মাস্ক দাবি করেন, কমলা হ্যারিস তাকে সাক্ষাৎকার দেবেন না। বর্তমানে নিয়মিতভাবে নির্বাচনী সমাবেশ করছেন কমলা। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার শুরু করার পর তিনি গণমাধ্যমে বড় কোনো সাক্ষাৎকার দেননি। বাইডেন ক্ষমতায় না থাকলে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাত না বলে দাবি করেন ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারকালে এ দাবিকে নাকচ করেননি মাস্ক।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পুতিনকে খুব ভালোভাবে চিনি এবং তিনি আমাকে সম্মান করেন।’ তিনি মাঝেমধ্যেই পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন বলেও জানান। ট্রাম্প দাবি করেন, ‘আমরা ইউক্রেন নিয়ে কথা বলেছি। ইউক্রেন তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি তাকে আক্রমণ না করতে বলেছি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে এক সমাবেশে বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলন মাস্ক তাকে সমর্থন করায় বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে তিনি সুর বদলাবেন না।
সমাবেশে উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার বৈদ্যুতিক গাড়ি রয়েছে। মাস্ক খুব জোরালোভাবে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। তাই আমাকে এমন গাড়ি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আবারও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কমলার সমাবেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় জনসমাগম বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে দাবি করেন, গত সপ্তাহে মিশিগানের ডেট্রয়েটে কমলা হ্যারিসের সমাবেশে লোকসংখ্যা কম হলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। বিমানবন্দরে কমলা হ্যারিসের জন্য হাজার হাজার সমর্থক অপেক্ষা করার যে করেছেন ডেমোক্র্যাটরা, সে দাবিকে ভুয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, কমলা হ্যারিসের সমাবেশে এবং বিমানবন্দরে মানুষের ভিড়ের তথ্য সঠিক। বরং ট্রাম্পের দাবি ভুয়া। বিভিন্ন ফ্যাক্ট চেক সংস্থাও সমর্থকদের সমাগমের তথ্য সঠিক বলে যাচাই করেছে। সমাবেশে উপস্থিত অনেকে এক্সে ছবি পোস্ট করেছে। সেসব ছবিতে তাদের একটি বড় ভিড়ের মধ্যে দেখায়, যার মধ্যে মিশিগান রাজ্যের ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাও ছিলেন, যিনি প্রচুর লোক সমাগমের তথ্য দেন।
ট্রাম্পের ‘ভুয়া’ দাবি করা ছবিটির মেটাডেটা পরীক্ষা করেছে বিবিসি। এর আগেও কমলাকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কমলার বর্ণপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনার মুখেও পড়েন ট্রাম্প।
অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচার জমে উঠেছে। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে প্রচারে যান কমলা। একই দিন মন্টানায় এক বিশাল সমাবেশে অংশ নেন ট্রাম্প। এ সময় ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পড়েন কমলা হ্যারিস। এরপর তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, গাজায় এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। বাইডেন প্রশাসন বরাবরই এই যুদ্ধ সমর্থন করে আসছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের এই নীতির প্রতিবাদ জানাচ্ছে দেশটির সাধারণ জনগণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে মূলত মুসলিম ভোট টানতে কমলা হ্যারিস এই বক্তব্য দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ বলে স্লোগান দেয়।
এ সময় তারা কমলার বক্তব্যেও বাধা দেয়। জবাবে তিনি বলেন, বাইডেন ও আমি গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আপনাদের দাবিকে সম্মান করি। এর আগে মিশিগানে সমাবেশ করেন কমলা। সে সময় ফিলিস্তিনপন্থিরা ‘আমরা গণহত্যার পক্ষে ভোট দেব না’ বলে স্লোগান দেয়। এর আগে নিজের রানিং মেট হিসেবে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজের নাম ঘোষণা করেন কমলা।
এর পরই এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার চালাতে তাকে সঙ্গে নিয়ে এক সপ্তাহের সফর শুরু করেছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি সাত অঙ্গরাজ্যে প্রচার চালাতে চান। কমলা অ্যারিজোনায় প্রচার চালানোর সময় লাতিন নাগরিক অধিকার সংস্থা লুলাক আদেলান্তের রাজনৈতিক কার্যনির্বাহী কমিটির সমর্থন পান। সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার ঘটনা এযাবৎকালে এটাই প্রথম।
উড়োজাহাজে বসে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মাত্রই অত্যন্ত সুন্দর একটি জায়গায় অবতরণ করেছি। এটি হলো মন্টানা। পোস্টে ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘আমি এখানে কিছু তহবিল সংগ্রহ করতে এসেছি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, মার্কিন সিনেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী টিম শিহিকে সমর্থন দিতে এসেছি।
আমরা মনে করি, তিনি সত্যিই ভালো করতে চলেছেন। আমরা একটি সমাবেশ করতে যাচ্ছি। অনেক মজা হবে। ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন টেস্টারের বিরুদ্ধে লড়বেন শিহি। আর চেস্টার চতুর্থ মেয়াদে সিনেটর হওয়ার আশায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শনিবার নেভাডার লাস ভেগাসে কমলা হ্যারিসের যাওয়ার কথা আছে।
এর আগে ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হলে তিনি সম্ভবত শান্তিপূর্ণভাবে পরাজয় মেনে নেবেন না। এর আগে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
কমলা বলেন, ট্রাম্প জিতলে তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। এদিকে ১০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবিসি নিউজে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে অধিবেশন চলাকালে হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকরা। এতে হতাহত হয়েছিলেন শতাধিক পুলিশ ও জনগণ। হামলার উসকানি দিয়েছিলেন ট্রাম্প নিজে।
এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনাকে স্মরণ করে বাইডেন বলেন, যদি ট্রাম্প হেরে যান, তাহলে কী ঘটবে তা নিয়ে আমি খানিকটা উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি তখন যেমন ছিলেন, এখনো তেমনই আছেন। আমরা এ ব্যাপারটি গুরুত্ব দিচ্ছি না। বাইডেন যেদিন এ সাক্ষাৎকার দেন সেদিনই উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী সফরে যান কমলা হ্যারিস। সেই সভায় তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা কুক্ষিগত করার অভিযোগ তোলেন।
সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পরিবর্তনের যে হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, তা ও স্মরণ করিয়ে দেন। ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘কোনো এক ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পরিবর্তনের হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি যদি ফের ক্ষমতায় আসেন তাহলে পুরোপুরি স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠবেন। এমন একজন মানুষ যদি নির্বাচিত হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সরাসরি হুমকির মুখে পড়বে।
এই দু’জনের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প কী বলেছেন, তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। কমলার সঙ্গে বিতর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে তিনি কমলার সঙ্গে কয়েকটি বিতর্ক করতে চান। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের তিনটি বিতর্ক করা উচিত। ট্রাম্প জানিয়েছেন, বাকি বিতর্কগুলো ফক্স নিউজ ও এনবিসিতে আয়োজিত হবে।
কমলাও ট্রাম্পের সঙ্গে একাধিক বিতর্কে অংশগ্রহণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। মিশিগানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি এবিসি নিউজে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেবেন। এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প-কমলার বিতর্কটি পরিচালনা করবেন ওয়ার্ল্ড নিউজ টুনাইট উপস্থাপক এবং গণমাধ্যমটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ডেভিড মুয়ার ও এবিসি নিউজ লাইভ প্রাইমের উপস্থাপক লিনসে ডেভিস।
গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হন ট্রাম্প। পরে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান বাইডেন। এরপর ডেমোক্র্যাট দল থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন কমলা। কমলা হ্যারিসের রানিং মেট টিম ওয়ালজকে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রক্ষার দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালে মিনেসোটায় ছড়িয়ে পড়া আন্দোলন চলাকালে টিম ওয়ালজকে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার দাবি ট্রাম্পের। সেই সময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। মিনেসোটার গভর্নর ওয়ালজ আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসের রানিং মেট।
নির্বাচনে কমলার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, বিক্ষোভকারীরা ওয়ালজের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলেছিলেন। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত করতে তিনি সবার সামনে এসে ওয়ালজকে ‘একজন ভালো মানুষ’ বলে ঘোষণা করেছিলেন। তবে ট্রাম্প তার এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে বা সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান কিংবা দিনক্ষণ উল্লেখ করতে পারেননি।
ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের আগেই অবশ্য ২০২০ সালের ওই বিক্ষোভ নিয়ে ওয়ালজ কথা বলেছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘প্রথমত, ট্রাম্পের টুইটের কারণেই সশস্ত্র লোকজন আমার বাড়ির দিকে গিয়েছিল। তাদের ভিড়ের মধ্যে উগ্র ডানপন্থি সংগঠন ‘প্রাউড বয়েজ’-এর সদস্যরাও ছিলেন।’ ট্রাম্প বলেন, ‘দাঙ্গার সময় আমি ওয়ালজকে অনেক সাহায্য করেছিলাম।