এমএলএম ও ই–কমার্স প্রতারণায় আটকা ২২ হাজার কোটি টাকা
টাকা ফেরত পাননি ডেসটিনি, যুবকের মতো প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা। এমটিএফইর প্রতারণার দায় নিচ্ছে না কেউ।
বহুস্তর বিপণন বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপ ইনকরপোরেটেড বাংলাদেশে রীতিমতো প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। ব্যবহার করেছে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনব্যবস্থা। কিন্তু প্রতারণার ঘটনার পর এখন সরকারি সংস্থাগুলোর কেউই দায় নিতে রাজি নয়।
মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসার জন্য বাংলাদেশে আইন আছে। তবে অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তারপরও এমটিএফই এ ধরনের ব্যবসা করে কীভাবে অর্থ হাতিয়ে নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। এ বিষয়ে বিটিআরসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে এমএলএম ও ই-কমার্সের নামে প্রতারণার বড় বড় ঘটনা রয়েছে। ২০০৬ সালে যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। ডেসটিনিতেও টাকা রেখে কেউ ফেরত পাননি। এ ঘটনা জেনেও ইউনিপেটুইউ নামক প্রতিষ্ঠানের একই ধরনের জালে আটকা পড়েন বিপুলসংখ্যক মানুষ। প্রতারণার ঘটনাগুলো নিয়ে সরকার বহুবার তদন্ত করেছে, কমিশন গঠন করেছে, টাকা ফেরতের পথও দেখিয়েছে। মামলাও হয়েছে অনেক। কিন্তু মানুষ টাকা ফেরত পাননি।
এমটিএফই নিয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে ডেসটিনি ও যুবকের গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেওয়ার একটা চেষ্টা আছে। ইভ্যালি বা আরও ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের যেসব গ্রাহক ২০২১ সালের ৩০ জুনের আগে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে কিছু করার বাস্তবতা কম।
তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্যসচিব
মাঝখানে ছয়-সাত বছর এ ধরনের ‘ব্যবসায়ের’ প্রসার ছিল না। ২০১৮ সালে শুরু হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে এমএলএম ব্যবসা। শুরুতে আসে ইভ্যালি। পরে একে একে আসে ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, কিউকমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলমান। কিছু ই–কমার্স গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছেন, তবে বেশির ভাগই প্রতারিত হয়ে পথে পথে ঘুরছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রতারিত গ্রাহকের হিসাব অনুযায়ী, এমএলএম প্রতিষ্ঠান ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে মানুষের প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা আটকা। এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় এক কোটি।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমটিএফই নিয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে ডেসটিনি ও যুবকের গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেওয়ার একটা চেষ্টা আছে। ইভ্যালি বা আরও ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের যেসব গ্রাহক ২০২১ সালের ৩০ জুনের আগে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে কিছু করার বাস্তবতা কম।’
বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, কিছু মানুষের লোভের ফাঁদে পড়া দেখে খারাপই লাগে। কষ্টের টাকা তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বিনিয়োগ না করলেই পারেন।
অবশ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মানুষের সামনে যাতে লোভের ফাঁদ কেউ পাততে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতেই সংস্থা তৈরি করা হয়।
যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে ১৯৯৬ সালে নিবন্ধন নেয় যুবক। আর ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে যে যুবক অবৈধ ব্যাংকিংসহ নানা প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত।
এবার অ্যাপে প্রতারণা
এমটিএফইর ‘প্রতারণার’ ধরনটি ভিন্ন, তবে কৌশল ডেসটিনির মতোই। ডেসটিনি যেভাবে গ্রাহকের মাধ্যমে গ্রাহক সংগ্রহ করত, তেমনি এমটিএফইও ‘বিনিয়োগকারী’ সংগ্রহ করেছে।
দেশে টাকা খোয়ানো ব্যক্তিরা বলছেন, এমটিএফই অনলাইন বা ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় শেয়ার, ডলার, ক্রিপ্টোকারেন্সি (ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা, যেমন বিটকয়েন) কেনাবেচার কানাডা ও দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বলে দাবি করত। তারা বিনিয়োগের বিপরীতে বড় লভ্যাংশের লোভ দেখাত। কেউ আগ্রহী হলে টাকা দিতে হতো ব্যাংক অথবা মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (এমএফএস) মাধ্যমে। বিপরীতে তাঁরা পেতেন ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা। মুঠোফোনের অ্যাপে লভ্যাংশ জমা হতো। কিছুদিন সেই লভ্যাংশ তোলা গেছে। সম্প্রতি অ্যাপটিতে গ্রাহকের হিসাবগুলো বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ বুঝতে পারে, তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশে এমটিএফইর কোনো কার্যালয় নেই, নেই কোম্পানির কোনো চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) নাম–ঠিকানা। মুঠোফোনেই সব কাজ হতো। বিনিয়োগকারী সংগ্রহ করতে এমটিএফই কান্ট্রি অপারেশন সার্ভিস (সিওও) পদমর্যাদায় প্রতিনিধি নিয়োগ করত। দেশের বিভিন্ন জেলায় এ রকম শত শত সিওও বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এমটিএফইর মতো অন্তত এক হাজার প্রতিষ্ঠান সমাজের রন্ধ্রে রন্দ্রে ঢুকে গেছে। অথচ সরকার বিষয়টাকে হালকাভাবে দেখছে।
সুবর্ণ বড়ুয়া, অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কত মানুষের টাকা খোয়া গেছে, তার হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার মানুষ কোটি কোটি টাকা হারানোর দাবি করছেন।
দীর্ঘ সময় ধরে এ কার্যক্রম চললেও সরকারের কোনো দপ্তরের কাছে তা ধরা পড়েনি। এমটিএফই নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু করছে কি না জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমটিএফইর প্রতারণার বিষয়টি পত্রিকায় দেখেছি। বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধ ব্যবসা হয়েছে। কেউ তাঁর টাকা কোথায় ব্যবহার করবেন, তা তাঁরই অধিকার। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারে না।’
এমটিএফইর কার্যক্রম লম্বা সময় ধরে চললেও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কোনো সরকারি দপ্তরের কাছে তা ধরা পড়বে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওয়েবসাইট তদারককারী দল থাকলে এ ধরনের ঘটনা কম ঘটবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বক্তব্যের বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদারের মতামত জানতে তাঁর মুঠোফোনে কল করা হয়। তিনি ধরেননি। পরে খুদে বার্তা দেওয়া হয়। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
যুবক ও ডেসটিনির সম্পত্তি থেকেও লাভ নেই
যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে ১৯৯৬ সালে নিবন্ধন নেয় যুবক। আর ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে যে যুবক অবৈধ ব্যাংকিংসহ নানা প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও পরে সাবেক যুগ্ম সচিব মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে দুটি কমিশন হয়। এ সময় যুবকের ৫১৮ একর জমি থাকার হিসাব উঠে আসে।
কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুবকের ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৩৯ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের দাবির পরিমাণ ২ হাজার ৫৮৮ কোটি ১১ লাখ টাকা।
যুবকে ক্ষতিগ্রস্ত জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রশাসক বসানোর দাবিতে গত বছর রিট করেছিলাম। আশা করছি একদিন আমাদের হক বুঝে পাব।’
এদিকে এমএলএম পদ্ধতির ব্যবসায়ের মাধ্যমে ২০০০ সালে যাত্রা শুরু ডেসটিনির। কোম্পানিটি ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়। ডেসটিনির নিজের হিসাবে ক্রেতা, পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৪৫ লাখ।
২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে ইউনিপেটুইউ ১০ মাসে দ্বিগুণ লাভের লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। আমানতকারীরা জানিয়েছেন, ইউনিপেটুইউতে বিনিয়োগকারীরা ছয় হাজার কোটি টাকা জমা রেখেছিলেন। কেউ টাকা ফেরত পাননি।
আদালতের নির্দেশে ২০১৩ সাল থেকেই ডেসটিনির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির দায়িত্ব পুলিশের। রাজধানীতে থাকা ডেসটিনির সম্পদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং রাজধানীর বাইরের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকাসহ দেশের ২২টি জেলায় ডেসটিনির সম্পদ রয়েছে। রাজধানীতে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনেরই ২৮টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ডেসটিনির ২৪টি রাবার বাগান রয়েছে। খুলনায় সাত একর জমি, ছয় বিভাগীয় শহরে বিজনেস সেন্টার নির্মাণের জমি, কক্সবাজারে জমিসহ হোটেল ও গাজীপুরে ডেসটিনি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ স্থাপনের জন্য জমি রয়েছে। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন ১০ বছরের বেশি সময় ধরে হাজতে রয়েছেন। একটি মামলায় তাঁর ৩ বছরের সাজা হয়। আরও মামলা চলমান।
গ্রাহকেরা এখনো তাঁদের টাকা বুঝে পাননি। গ্রাহকদের টাকা ফেরতের জন্য কমিশন অথবা তদন্ত কমিটির কোনো সুপারিশই কার্যকর করতে পারেনি সরকার।
২০১৭ সালে সংসদীয় কমিটির জন্য তৈরি করা সমবায় অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৪ হাজার ৬৮ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করার পর তা ফেরত দেয়নি ২৬৬টি সমবায় সমিতি। এসব সমিতির বেশির ভাগ তাদের কার্যালয় বন্ধ করে পালিয়েছে।
ইউনিপেটুইউর পর ইভ্যালি
২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে ইউনিপেটুইউ ১০ মাসে দ্বিগুণ লাভের লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। আমানতকারীরা জানিয়েছেন, ইউনিপেটুইউতে বিনিয়োগকারীরা ছয় হাজার কোটি টাকা জমা রেখেছিলেন। কেউ টাকা ফেরত পাননি। তবে দুদকের মামলায় ইউনিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনতাসির হোসেনসহ ছয়জনের সাজা হয়।
২০১৮ সালে বিপুল ছাড়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির কথা বলে ই–কমার্স ব্যবসায় নামে ইভ্যালি। এরপর ই–অরেঞ্জ, আলেশা মার্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একই কায়দায় মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে।
ই-ভ্যালি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক হয়েছিল। সরকারের দায়িত্বশীলেরা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করেছিলেন। যেমন ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-ক্যাবের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পদক পায় ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠান একসময় বাংলাদেশের আলিবাবা, আমাজন হবে।
কিন্তু পরে দেখা যায়, এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে, অর্থ পাচার করেছে। এখন ইভ্যালির কাছে ১ হাজার কোটি টাকা, ই-অরেঞ্জের কাছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং ধামাকার কাছে ৮০৮ কোটি টাকা পাওনা গ্রাহকের। আরও কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা আটকে আছে মানুষের।
‘সরকার বিষয়টাকে হালকাভাবে দেখছে’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক সুবর্ণ বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, এমটিএফইর মতো অন্তত এক হাজার প্রতিষ্ঠান সমাজের রন্ধ্রে রন্দ্রে ঢুকে গেছে। অথচ সরকার বিষয়টাকে হালকাভাবে দেখছে।
সুবর্ণ বড়ুয়া ইভ্যালি নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি কাজের একজন সদস্যও। তিনি আরও বলেন, প্রথমে যুবক, ডেসটিনির মতো এমএলএম; পরে ইভ্যালির মতো ই–কমার্স এবং এখন এমটিএফইর মতো ক্রিপটোকারেন্সির (ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা) মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের মোহে পড়েছেন যুবকেরা। কেন এমন হচ্ছে, এ ব্যাপারে গবেষণা হওয়া দরকার। আপাতত সরকারের পক্ষে এসব বিনিয়োগ রোধে ব্যাপক প্রচারণা চালানার বিকল্প নেই; কিন্তু সরকার তা করছে না।