Hot

এয়ারলাইন্স সেবায় শঙ্কা, ডলার সঙ্কটে বিদেশি কোম্পানিগুলোর বকেয়া ৩২৩ মিলিয়ন ডলার

ডলার সঙ্কটের কারণে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা দীর্ঘদিন থেকে পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিপুল পরিমান বিল বকেয়া তথা টিকেট বিক্রির টাকা নিজ নিজ দেশে পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় বিদেশি এয়ারলাইন্স ‘সেবা’ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিেেছ। অনেক বিদেশী এয়ারলাইন্স ঢাকায় তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে বিপুল অর্থব্যয়ে নির্মিত হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে থার্ড টার্মিনাল চালু হতে না হতেই বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটাচ্ছে কিনা?


এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বকেয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাংলাদেশে বিমান টিকিটের দাম বেড়েই চলছে।এ কারণে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ কিংবা টিকিট না কেটে দেশের বাইরে থেকে কম খরচে টিকিট কাটছে ও ভ্রমণ করছে। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ অ্যাটাব মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ জানান, এই সংকটের কারণে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ভ্রমণে টিকিটের দাম যেমন বেড়েছে, সেই সাথে টিকিট বিক্রি কমেছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পরিচালক কাজী ওয়াহিদ-উল আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই বকেয়ার কারণে গত বছরও আইএটিএ বাংলাদেশ-পাকিস্তান ছাড়াও আরও তিনটি দেশকে নোটিশ দিয়েছিলো। গত এক বছরে সেই তিনটি দেশ এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনক এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। অবশ্য বসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (ক্যাব) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান দাবি করেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টাকা আটকে গিয়েছিলো। এখন আস্তে আস্তে করে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এগুলো পাচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিকিট বিক্রয়লব্ধ টাকা আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারে কনভার্ট করে নিজ নিজ দেশে পাঠাতে না পেরে অনেক বিদেশী এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। ওই সব এয়ারলাইন্স কোম্পানির টিকেট বিক্রির প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশে আটকে রয়েছে। বিদেশী এয়ারলাইন্স ঢাকায় ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দেয়ায় অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো অধিক চাহিদার সুযোগ নিয়ে টিকিটের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে দিচ্ছে। চড়া দামে টিকিট ক্রয় করে প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
বিশ্বের ৩০০টি এয়ারলাইন্স নিয়ে গঠিত বাণিজ্যিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহ-সভাপতি ফিলিপ গোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কাছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা ৭২০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের কাছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা ৩২৩ মিলিয়ন ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। আর পাকিস্তানের কাছে পাওনা ৩৯৯ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ দেনা পরিশোধ না করায় পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠেছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অবিলম্বে আটকে রাখা অর্থ পরিশোধ করতে হবে, যাতে এয়ারলাইন্সগুলো দক্ষতার সাথে সেবা চালিয়ে যেতে পারে এবং পাওনাদার এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় থাকে।


এভিয়েশন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে আগামী অক্টোবর থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হবার কথা। অনেক বিদেশি এয়ারলাইন্স থার্ড টার্মিনাল উন্মুক্ত হবার সুবাধে ঢাকায় এয়ারলাইন্স সেবা চালু আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু ডলার সঙ্কটের দরুণ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বিক্রয়লব্ধ অর্থ ছাড় করতে না পারায় অনেক এয়ারলাইন্স ঢাকায় সেবাকার্যক্রম চালুতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এতে থার্ড টার্মিনাল চালু হলেও কাঙ্খিত আয়ের পরিবর্তে লসের ভার বহন করতে হবে কিনা তা’ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট বিক্রির রেমিট্যান্স আটকে পড়ায় ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোর অনেকেই পথে বসছে। ডলার সঙ্কটের দরুণ এয়ারলাইন্সগুলো বকেয়া পাওনা আটকে পড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত ডলার সঙ্কটের দরুণ সিডিউল ব্যাংকগুলো ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি অফারেও এয়ারলাইন্সগুলোর পেমেন্ট দিতে পারছে না। ফলে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ঢাকায় ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। এতে যাত্রী পরিবহনের ক্যাপাসিটি কমছে আর টিকিটের দাম দিন দিন বাড়ছে। চড়া দামেই যাত্রীরা টিকিট কিনে বিদেশ যেতে বাধ্য হচ্ছে। আটাব নেতা বলেন, ডলার সঙ্কটের বেড়াজালে এয়ারলাইন্সগুলোর বিক্রয়লব্ধ অর্থ (প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা) আটকা পড়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন থাকার পড়েও সিডিউল ব্যাংকগুলো এয়ারলাইন্সগুলো রেমিট্যান্স ছাড় করতে পারছে না। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর রেমিট্যান্স দ্রুত ছাড় দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ডলার সঙ্কটে এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা অর্থ আটকা পড়ায় নতুন নতুন এয়ারলাইন্স থার্ড টার্মিনাল চালু হলে যে উৎসাহ নিয়ে ঢাকায় সেবাকার্যক্রম শুরু আগ্রহ প্রকাশ করেছিল তারা এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ইনকিলাবকে বলেন, বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর টোটাল কতো টাকা বকেয়া এটা জানা নেই। একই সঙ্গে ডলার ছাড়ের আবেদন করেছে অর বিষয়টি পেন্ডিং আছে এ রকম তথ্যও নেই। কোন ব্যাংক ডলার ছাড়ের জন্য অনুমোদন নিতে আবেদন করলে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত ব্যবস্থা নিবে। তবে ডলার ছাড়ের বিষয়টি অধিকাংশই বিদেশী সিডিউল ব্যাংকের হাতে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে শুধুই অনুমোদন।
জাপানের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজও জাপানকে দেয়া হবে। এ গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ এতদিন বিমান বাংলাদেশ করতো, যা নিয়ে অভিযোগের কোন সীমা ছিলো না। কর্তৃপক্ষ বলছে, থার্ড টার্মিনাল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নতুন এই টার্মিনালের মাধ্যমেই মূলত বাংলাদেশ সনাতনী ধারা বিমানবন্দর পরিসেবা থেকে বেরিয়ে আধুনিক বিমানবন্দর যুগে প্রবেশ করলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলেও ডলার সঙ্কটের দরুণ শিডিউল ব্যাংকগুলো বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর বিক্রয়লব্ধ অর্থ (ডলার) বিদেশে পাঠাতে পারছে না। টিকিট বিক্রয়ের লভ্যাংশ নিজ নিজ দেশে নিতে না পারায় টিকিটের দাম বাড়াচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো। চড়া দামে টিকিট কিনতে বিদেশগামী কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে। ডলার সঙ্কট দ্রুত নিরসন না হলে এয়ারলাইন্স সেবাখাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। ট্রাভেলস ব্যবসায় জড়িত একাধিক বিনিয়োগকারী এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এয়ারলাইন্স ব্যবসার লভ্যাংশ ঘরে নিতে না পারায় ফ্লাইট সংখ্যা হ্রাস করছে। ইত্তেহাদ এয়ার ইতিপূর্বেই বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। টিকিট বিক্রয়লব্ধ অর্থ দেশে নিতে না পেরে ওমান এয়ার সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইট থেকে ৪টি কমিয়ে বর্তমানে ৩টি ফ্লাইট চালু রেখেছে। ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স সপ্তাহে ৫টি ফ্লাইট থেকে ২টি ফ্লাইট কমিয়ে ৩টি ফ্লাইট চালু রেখেছে। জাজিরা এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম থেকে ৫টি ফ্লাইট কমিয়েছে। তারা ঢাকায় সপ্তাহে ৯টি ফ্লাইটের স্থলে ১১টি ফ্লাইট চালু রেখেছে। টার্কিস এয়ার সপ্তাহে ঢাকা থেকে ৭টি ফ্লাইট্ চালু রেখেছে। এতে বিদেশগামী কর্মীদের পরিবহন ক্যাপাসিটি হ্রাস পাওয়ায় টিকিটের দাম দিন দিন বাড়ছে। ফলে চড়া দামে টিকিট কিনতে কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে। ডলার সঙ্কটের দরুণ টিকিট বিক্রির অর্থ দেশে নিতে না পেরে অধিকাংশ এয়ারলাইন্সগুলো লো’কস্টের সিট ক্লজ করে রাখছে। ওই সিটগুলো বাইরের দেশ থেকে কম টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সরকারও বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।


বিদেশ থেকে ওটিএ এর মাধ্যমে যাত্রীর টিকিট ইস্যু হচ্ছে দেদারসে। টিকিট বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাওনা দ্রুত পরিশোদের তাগিদ দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ (আইএটিএ)। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে রাখার ফলে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল চুক্তি লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও সতর্ক করেছ সংস্থাটি।
আগামী ৯ মে থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট চালু হবার কথা। যদিও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখনো চূড়ান্ত হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করতে পারেনি। হজ ফ্লাইট চালু হলে বিদেশগামী কর্মী পরিবহনের ওপর চাপ পড়ে। এ সময়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পরিবহন কার্যক্রম সচল থাকলে যাত্রী পরিবহনে কোনো সঙ্কট থাকবে না। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে যাত্রী পরিবহনে বিপর্যয়ের আশঙ্কার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। একাধিক ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সউদীয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে। জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।


চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র হজ। প্রতিবছর একমাস আগে থেকে শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা করা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও ফলে হজযাত্রা নিয়ে নানা শঙ্কা বিরাজ করছে।
কীভাবে এয়ারলাইন্সগুলোর এই বিপুল অর্থ আটকা এবং টাকা বকেয়া থাকার কী প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়তে পারে জানতে চাইলে বিশিষ্ট ট্রাভেলস ব্যবসায়ী ও হাবের সাবেক নেতা মো.রুহুল আমিন মিন্টু বলেন, বিদেশি যেসব এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করে তাদের টিকিট বিক্রির মুনাফা বিভিন্ন ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন স্বাপেক্ষে বিদেশে পাঠানো হয়। এটা প্রতি মাসে পাঠানোর কথা। ডলার সঙ্কট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেতে বিলম্ব হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো সঠিক সময়ে অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। যার ফলে বিপুল এই দেনা। বিদেশ থেকে ওটিএ এর মাধ্যমে অনলাইনে এয়ারলাইন্সগুলোর অধিকাংশ টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে দেদারসে। এতে ডলার সঙ্কট বাড়ছে এবং কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

 রাতে আটাবের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর বকেয়া পাওনা আটকে থাকার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আয়াটা কর্তৃপক্ষই বলেছে, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর বকেয়া পাওনা প্রায় ৩২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দীর্ঘ দিনের ডলার সঙ্কটের দরুণ সিডিউল ব্যাংকগুলো এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা অর্থ পরিশোধ করতে সক্ষম হচ্ছে না। ফলে তাদের ফ্লাইট্ সংখ্যা বাংলাদেশ থেকে কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এতেই বুঝা যাচ্ছে, এয়ারলাইন্সগুলোর মাঝে দিন দিন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে বাস্তবমুখী উদ্যোগ না নিয়ে শুধু নিজেদের পক্ষে সাফাই গাওয়া সঠিক হবে না।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto