Bangladesh

এ পর্যন্ত ২০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা, জাইকার শীর্ষ ৩ ঋণগ্রহীতার তালিকায় বাংলাদেশ

জাইকার শীর্ষ তিন ঋণগ্রহীতার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে জাইকা মোট তিন ট্রিলিয়ন জাপানি ইয়েনের বেশি সহযোগিতা দিয়েছে, যা প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) সদর দপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে জাইকার অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তির মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার অর্থমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। এছাড়া আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাইকা সদর দপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স বা আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) লোন হিসাবে তিন হাজার ২৮৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড) হিসাবে ১৪৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৯৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দিয়েছে সংস্থাটি।

এছাড়া টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের জন্য ১০৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৬৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং লোন ও ইক্যুইটি হিসাবে এখন পর্যন্ত প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ফাইন্যান্সের জন্য ২৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাইকা ১৪ হাজারেরও বেশি সরকারি কর্মীর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে এবং এক হাজার ২৮৬ জন জাপানিজ ওভারসিজ কো-অপারেশন ভলান্টিয়ার্সকে দেশে নিযুক্ত করেছে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের দেশসহ বিশ্বের জন্য আদর্শ উদাহরণ জাপান। জাইকা ও জাপানের সহযোগিতায় আমাদের কমিউনিটির বিকাশ ও উন্নয়ন সাধিত হবে। জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। এই অংশীদারত্ব আমাদের দেশের লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করবে বলে আমরা আশাবাদী।
বাংলাদেশ ও জাপানের অসামান্য বন্ধুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ৫০ বছরের এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু হিসাবে টেকনিক্যাল কো-অপারেশন, রেয়াতি ঋণ (কনসেশনাল লোন), অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড), স্বেচ্ছাসেবী ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে বহু খাতে সহযোগিতা করেছে জাইকা। তিনি বলেন, সব সময় সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার শক্তিশালী বন্ধুত্ব গড়ে তোলাই ছিল জাইকার লক্ষ্য।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button