এ বছর ক্রিপ্টো হ্যাকিংয়ে চুরির ঘটনা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে
ব্ল্লকচেইন গবেষণা সংস্থা টিআরএম ল্যাবসের তথ্যে জানা গেছে, বড় ধরনের সাইবার আক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান ক্রিপ্টো দামের কারণে বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্ভর চুরির পরিমাণ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে দ্বিগুণ পরিমাণে চুরির ঘটনা বেড়েছে। একটি প্রতিবেদন বলেছে, হ্যাকাররা এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ১.৩৮ বিলিয়ন মূল্যের ক্রিপ্টো চুরি করে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে একই সময়ে ৬৫৭ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যম ধরনের চুরি আগের বছরের তুলনায় দেড়গুণ বেশি বেড়েছে। টিআরএম ল্যাবসের বৈশ্বিক নীতিবিষয়ক প্রধান আরি রেডবোর্ড বলেন, ‘অনেক অনেক হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটলেও ক্রিপ্টোকারেন্সি ইকোসিস্টেমের নিরাপত্তায় কোনো মৌলিক পরিবর্তন আসেনি। বিটকয়েন থেকে ইথার ও সোলানা ক্রিপ্টো পর্যন্ত হ্যাকিং হচ্ছে। চুরির পাশাপাশি ক্রিপ্টোর দামও গত বছরের তুলনায় বাড়ছে। যে কারণে সাইবার অপরাধীরা ক্রিপ্টোতে আক্রমণ করতে আরো বেশি অনুপ্রাণিত হচ্ছে। ২০২২ সালে স্যাম ব্যাঙ্কম্যান-ফ্রাইডের ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্সের পতনের পর ক্রিপ্টোর মূল্য নিম্নমুখী ছিল। গেল কয়েক মাসে তা বেড়েছে। এই বছরের মার্চে বিটকয়েন সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭৩৮০৩ ডলারে বিক্রি হয়।
এ বছর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো চুরি হয় জাপানি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ডিএমএম বিটকয়েন থেকে। প্রায় ৩০৮ মিলিয়ন মূল্যের বিটকয়েন চুরির ঘটনা ঘটেছিল। প্রযুক্তির বহুমাত্রিকতার কারণে ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানি বারবার হ্যাক ও সাইবার আক্রমণের জন্য নিশানায় পরিণত হচ্ছে। ২০২২ সালে চুরি হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সির পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন অনলাইন গেম অ্যাক্সি ইনফিনিটির সঙ্গে যুক্ত একটি ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক থেকে ৬০০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের দায়ী করা হয়।