Bangladesh

এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে ‘আনস্মার্ট’ বলছ: মূল্যস্ফীতি হাসে ‘স্মার্ট সুদ’

বছর তিনেকেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংকগুলো নয় শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে এবং আমানত নিয়েছে ছয় শতাংশ সুদে। ব্যাংকিং খাতে সেই ‘নয়-ছয়’ এখন অতীত। সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার পেছনে মূল্যস্ফীতির উচ্চ হারের রাশ টেনে ধরাকে প্রধান কারণ মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু সেই ঋণের সুদহার ৯ থেকে চলতি মাসে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ঋণের সঙ্গে অবশ্য আমানতেরও সুদহার বেড়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংক আমানতে সর্বোচ্চ ১৩-১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ অফার করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদের হারও ঊর্ধ্বমুখী।

বর্তমানে ১৫ শতাংশের ঘরে অবস্থান করছে আর্থিক ঋণের সুদহার। দুর্বল নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত পেতে সর্বোচ্চ ১৭-১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রস্তাব করছে। ঋণ-আমানতের এই সুদহারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষায় বলা হচ্ছে ‘স্মার্ট সুদহার করিডর’। প্রতি ছয় মাসের ট্রেজারি বিল ও বন্ডের গড় সুদহার বের করে হিসাব করা হয় ‘স্মার্ট’ রেট। প্রতি মাসের শেষে বা প্রথম দিনে স্মার্ট সুদহার কতো হবে তা জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত সুদ হার নীতিকে এযাবৎকালের সবচেয়ে ‘আনস্মার্ট’ সুদ হার নীতি হিসেবে মনে করেছেন ব্যবসায়ীরা। এই সুদহারের কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
জানা গেছে, মুদ্রানীতির আধুনিকায়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা চালু করতে আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নে গত বছরের জুলাই মাস থেকে ‘স্মার্ট সুদহার করিডর’ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের বাজার সুদকে ভিত্তি ধরে ‘রেফারেন্স রেট’ অর্থাৎ সুদ গণনা করা হয়।। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘এসএমএআরটি’ (স্মার্ট সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ)।

এ পদ্ধতিতে ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় হার ধরে ঠিক করা হয় ‘রেফারেন্স রেট’। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট প্রতি মাসের প্রথম কর্মদিবসে ‘এসএমএআরটি ইনডেক্স’ বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আসছে। এসএমএআরটি ইনডেক্সের সঙ্গে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণ দেয়। আর কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে।

কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত, ভোক্তা ঋণ ও গাড়ি কেনার ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ১ শতাংশ হারে সুপারভিশন চার্জ কাটতে পারবে। অর্থাৎ সিএমএসএমই ঋণের সুদহার হবে প্রায় ১১ শতাংশ। তবে সুপারভিশন চার্জ বছরে একবার আদায় বা আরোপ করা যাবে। বার্ষিকভিত্তিতে আরোপিত এ সুপারভিশন চার্জের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে কোনো চার্জ বা সুদ আরোপ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণ হিসাব বছরের মধ্যবর্তী সময়ে সমন্বিত করার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে আনুপাতিক সময়ের জন্য সুপারভিশন চার্জ আদায় করা যাবে।

যে মাসের সুদহার নির্ধারণ করা হবে, তার আগের মাসের ‘এসএমএআরটি’কে ভিত্তি ধরে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত বছরের জুলাই মাসের সুদহার নির্ধারণে জুন মাসের জন্য নির্ধারিত ‘এসএমএআরটি’কে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ওই মাসটিতে প্রথমবার ‘স্মার্ট’ রেট ছিল ৭ দশমিক ১০। আগস্টে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে স্মার্ট রেট প্রায় এক শতাংশ বেড়ে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশে উঠেছে।

স্মার্ট হার প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত আট মাসে বাড়ল দুই দশমিক ৫১ বেসিস পয়েন্ট বা ৩৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এভাবে প্রতি ছয় মাসের ট্রেজারি বিল ও বন্ডের গড় সুদহার বের করে হিসাব করা হয় ‘স্মার্ট’ রেট। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত সুদ হার নীতিকে এযাবৎকালের সবচেয়ে ‘আনস্মার্ট’ সুদ হার নীতি হিসেবে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছেন ব্যবসায়ীরা। এই সুদহারের কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জওহর রিজভী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংক ঋণের সুদহার নীতিকে স্মার্ট হিসেবে অভিহিত করলেও এই সুদহার নীতি সাম্প্রতিক মধ্যে সবচেয়ে আনস্মার্ট সুদের হার। আমরা ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করি। বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করি। এই সুদের হার নীতিতে এত বেশি সুদ দিতে হলে সবাই ঋণখেলাপি হয়ে পড়ব।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হচ্ছে, যারা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে খেলাপি হচ্ছে উভয়ের ক্ষেত্রেই একই আইন, এটা তো হতে পারে না। অনেক ব্যবসায়ী দেউলিয়া ও ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে যাচ্ছে। যার কারণে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হচ্ছে। আবার ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগ করছে। যার কারণে বেসরকারি খাত ফান্ড পাচ্ছে না। তিনি বলেন, ডলার সংকটে কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা যাচ্ছে না। আবার এলসি খুলতে গেলেও নির্ধারিত দরে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।

ব্যাংকগুলো এর চেয়ে বেশি রেট নিচ্ছে। অন্যদিকে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট নিয়েও কথা হয়েছে। যেটা আগে ৩৫ শতাংশ ছিল, তা এখন ২৫ শতাংশ করা হয়েছে, যার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে এখন আমানত ও ঋণে সুদের হার বাড়ছে, এটা ঠিক। সেটা সর্বোচ্চ ১২-১৩ পর্যন্ত যেতে পারে। এরচেয়ে বেশি হলে যেমন ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বেন। ঠিক তেমনি ১৭-১৮ শতাংশ সুদে আমানত নিয়ে ব্যবসা করলে সেই ব্যবসাও টিকবে না। 
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চতুর্থ প্রজন্মের একটি দুর্বল ব্যাংক ১০ বছর মেয়াদি আমানতে সুদ অফার করেছে ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক বছর মেয়াদি আমানত নিচ্ছে ১২ শতাংশে। আমানতের অঙ্ক কোটি টাকার ওপরে হলে সুদহার হবে ১৩ শতাংশ। এভাবেই টাকার অঙ্ক ও মেয়াদ বাড়লে সুদের হার ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে। এটা আনুষ্ঠানিক কোনো অফার নয়।

ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিকে এসব অফার অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। কখনো কখনো ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমেও এসব লোভনীয় অফার দেওয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলেন, শুধু কয়েকটি দুর্বল প্রতিষ্ঠান উচ্চ সুদে আমানত নিচ্ছে। এতে আমানতকারীরা ঝুঁকিতে পড়বেন। সে জন্য আমানতকারীদের সতর্ক হতে হবে।
মার্চে ব্যাংক ঋণের সুদহার হবে ১৩.১১ শতাংশ ॥  বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘স্মার্ট’ হার প্রকাশের পর চলতি মাসে ঋণে সর্বোচ্চ সুদের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের হার নির্ধারণে ব্যাংকের মার্জিনের হার আগের চেয়ে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে। নতুন হার অনুযায়ী একটি ব্যাংক চাইলে মার্চ থেকে তার গ্রাহককে ঋণ দিতে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ হারে সুদ নিতে পারবে। তবে আগের মতোই ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে তা কম হওয়ার সুযোগও রয়েছে।

তবে চলতি মাসের শুরুতে মার্জিন কমিয়ে এক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এখন থেকে ব্যাংকগুলো ‘স্মার্ট’ সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ মার্জিন যোগ করতে পারবে। এতদিন যা ছিল তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ। মার্চে ঋণ বিতরণে স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) এর নতুন হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর সঙ্গে নতুন মার্জিন যোগ করে সর্বোচ্চ সুদহার ঠিক করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

আট মাস আগে স্মার্ট চালুর পর থেকে এ দুই হারই সর্বোচ্চ এবং এক মাসের ব্যবধানে স্মার্টও বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। আগের মাসের চেয়ে বেড়েছে ৯৩ বেসিস পয়েন্ট। ফেব্রুয়ারির স্মার্ট ঠিক হয়েছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। নিয়ম অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের ‘স্মার্ট’ সুদহার প্রযোজ্য হবে মার্চ মাসে বিতরণ করা নতুন ঋণের বেলায়। এরপর এবারই প্রথমবার ব্যাংকের মার্জিন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায়ে এক মাসে ঋণের সুদহার বেড়েছে ৬৮ বেসিস পয়েন্ট। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণে ব্যাংক সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে, এতদিন যা ছিল দুই দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর সঙ্গে ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে এসএমই ঋণের বিপরীতে। এটিতে মার্জিন আগের মতই রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের নতুন সর্বোচ্চ সুদ হার ॥ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) আমানত ও ঋণের সুদহার কত হবে তা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ‘স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল)’ সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ মার্জিন যোগ করে আমানত নিতে পারবে। আর সাড়ে পাঁচ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

নতুন সিদ্ধান্তে আমানত ও ঋণে ৫০ বেসিস পয়েন্ট মার্জিন কমল এনবিএফআই আমানত ও ঋণে। সে হিসেবে এ খাতে আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ হবে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ, ঋণে তা ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ। এতদিন এনবিএফআইগুলো আমানতে দুই দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ঋণে পাঁচ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করতে পারত ‘স্মার্ট’ এর সঙ্গে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের স্মার্ট সুদহার হবে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। এই ‘স্মার্ট’ সুদহার ধরের সঙ্গে মার্চ মাসের আমানত ও ঋণের সঙ্গে মার্জিন যোগ করতে পারবে এনবিএফআই।

কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত ও ভোক্তা ঋণের আওতায় ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয়ে এর সঙ্গে বছরে একবার এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ যোগ করা যাবে। ঋণের সুদহার পরিবর্তন হলে গ্রাহকের অনুমতি নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের বেলায় মার্জিন হার কমিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d