কমলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাজায় গণহত্যা সমর্থনকারী ন্যান্সি পেলোসি
শিকাগোর ইউনাইটেড সেন্টার অ্যারেনায় ডেমোক্রেটিক পার্টির চার দিনের জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। একে একে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন সহ বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনও। তেমনই ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সদস্য ন্যান্সি পেলোসি।
বুধবার জাতীয় সম্মেলনের তৃতীয় দিনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, কমলা হ্যারিস একজন ‘দৃঢ়চেতা নেত্রী’। তিনি বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে নিয়ে আশাবাদী বলে দাবি করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি জানি, হ্যারিস আমাদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমি হ্যারিসকে কয়েক দশক ধরে চিনি।তিনি একজন দৃঢ়চেতা নেত্রী।’ একই সঙ্গে তিনি আরও জানান, তিনি নীতি নির্ধারণে জ্ঞানী ও অত্যন্ত ভাল একজন সুবক্তা’
পাশাপাশি সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে পেলোসি কমলার রানিং মেট টিম ওয়ালজকে নিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।তিনি জানিয়েছেন, ওয়ালজ যে আসন থেকে কংগ্রেস সদস্য হয়েছেন, সেটা আগে রিপাবলিকানদের ঘাঁটি ছিল। তিনি ‘ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান ও স্বতন্ত্র ভোটারদের এক করে দিয়েছেন এবং সেটিকে নীল করেছেন।’একইসঙ্গে ট্রাম্পকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন পেলোসি। তিনি জানান, ‘৬ জানুয়ারি গণতন্ত্রকে নিগ্রহ তারা ভুলে যাবেন না। এর পেছনে কে ছিল ? কিন্তু সেদিন তারাই একমাত্র গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছিল। সেইসময়ের কথা মনে আছে এখনও।’
উল্লেখ্য,ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে একজন প্রভাবশালী নেত্রী হলেন পেলোসি। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের প্রথম নারী স্পিকার ছিলেন তিনি। ডেমোক্রেটিক দল থেকে যাঁরা বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন হল পেলোসি। বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে রাজি করানোর পেছনে নাকি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
হাতে আর মাত্র কিছু সময়। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুরুতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। কিন্তু বয়সের কারণে বিতর্কিত হয়েছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এর পরিবর্তে কমলাকে মনোনীত প্রার্থী করা হয়। জাতীয় সম্মেলনের শেষে দলের তরফে মনোনয়ন গ্রহন করবেন তিনি। আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে কমলা জিতলে তিনিই হবেন কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় ঐতিহ্যের যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।