কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে দখলমুক্ত করতে নিউইয়র্ক পুলিশের ব্যাপক অভিযান
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন মুক্ত করতে অভিযান চালাচ্ছে নিউইয়র্ক পুলিশ। এসময় তারা বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেও নিয়ে যান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে বিক্ষোভকারীরা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হ্যামিল্টন হল’ ভবনে অবস্থান নেয়ার মধ্যদিয়ে ভবনটি দখলে নেয়। বিক্ষোভকারীরা হলের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। বাইরে থাকা অন্যান্য বিক্ষোভকারী সেখানে থাকা টেবিল দিয়ে হলের দরজা বন্ধ করে দেয়। হলের সামনে হাতে হাত ধরে ব্যারিকেডও তৈরি করে তারা।
ভেতর থেকে এক বিক্ষোভকারী চিৎকার করে বলেন, তারা গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর হাতে নিহত ছয় বছর বয়সি ফিলিস্তিনি শিশু ‘হিন্দ’-এর সম্মানার্থে ভবনটি দমুক্তদ করেছেন, যে দখলদার বাহিনীকে অর্থায়ন করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। আর ভবনের ওপর তলা থেকে বিক্ষোভকারীরা ‘হিন্দদস হল’ লেখা একটি ব্যানারও ঝুলিয়ে দেন।
বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশকে বিষয়টি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের কাছ থেকে খবর পেয়েই নিউইয়র্ক পুলিশের একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে অভিযান চালায়।
পুলিশ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হ্যামিলটন হল নামের ওই ভবনে তারা প্রবেশ করেছে। সেখানে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখান থেকে ৫০ জন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর আগে সোমবার দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছিল, অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরে নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারও করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন।
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এর আগে কলাম্বিয়ার শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অনেকে কমলা ও হলুদ রংয়ের ভেস্ট পড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন।