International

কাশ্মীরে স্বাধীনতা আন্দোলনের নতুন রূপ, উদ্বিগ্ন মোদি সরকার

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের নিরাপত্তাবাহিনী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কপালের ভাঁজ বাড়িয়ে দিচ্ছে আন্দোলনের নতুন রূপ। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার এর নাম দিয়েছে ‘হাইব্রিড টেররিজম’।

৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার আগে পর্যন্ত যে সব স্থানীয় যুবক স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিতেন, তারা প্রত্যেকে প্রকাশ্যেই তা করতেন। কেউ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, কেউ অন্য উপায়ে পরিবারকে জানিয়ে দিতের, তারা নিজেদের অভীষ্ট পূরণে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। তাই তাদের চিহ্নিত করা অনেকটাই সহজ ছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, সেনার পক্ষে। কিন্তু এখন পরিস্থিতিতে বদল এসেছে অনেকটাই। ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোদি সরকারের তৎপরতা, কড়াকড়িতে বেশ কিছুটা দমেছিল ভূস্বর্গের স্বাধীনতা আন্দোলনের আবহ। শ্রীনগর, দক্ষিণ কাশ্মীর-সহ প্রায় গোটা কাশ্মীরেই কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে স্বাধীনতা কর্মকাণ্ড। কিছু কিছু অংশে সামান্য কিছু গতিবিধি থাকলেও মোটের উপর বেশ শান্ত কাশ্মীর।

কিন্তু তা হলেও স্বাধীনতাবাদীরা চুপ করে বসে নেই। তথাকিথত ‘হাইব্রিড টেররিস্ট’ তারাই, যারা দমন-পীড়নের ভয়ে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনে না। নিজের পরিচয় গোপন রেখে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলা চালিয়ে ফের সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যায়। সিআরপিএফ-এর একটি সূত্রের দাবি, এদের মধ্যে রয়েছে ফলের রস বিক্রেতা, ছোট দোকানদার থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক এমনকী ডাক্তার, অধ্যাপকরাও। কোনও তথ্য না থাকায় তাদের খুঁজে বের করতে নানা প্রতিকূলতায় পড়তে হয় নিরাপত্তাবাহিনীকে। যদিও সাম্প্রতিক দুটি ঘটনায় দুই ‘হাইব্রিড টেররিস্ট’ তথা স্বাধীনতাকামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এই আবহে উঠতে শুরু করেছে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই যে কদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাশ্মীর থেকে ‘আফস্পা’ প্রত্যাহারের পরিকল্পনার কথা জানালেন, তা কি শুধুই নির্বাচনী চমক? নাকি ভূস্বর্গের সত্যিকারের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও তথ্যই নেই অমিত শাহর কাছে। দ্বিতীয়টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে…?

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button