কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে অনলাইনে যুক্ত হবে ২৬০ কোটি মানুষ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পরিধি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আর এটি ২৬০ কোটির বেশি মানুষকে অনলাইনে যুক্ত করতে পারবে। সম্প্রতি ব্রডব্যান্ড কমিশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইটি টেলিকম ও টেকনোলজি মিরর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড কমিশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কাজ করে থাকে। ২০১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এটি প্রতিষ্ঠা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে ৫৪০ কোটির বেশি মানুষ অনলাইনে যুক্ত রয়েছেন। ২০২৩ সালে বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ শতাংশে। যেখানে ২০১৯ সালে এর অনুপাত ছিল ৫৪ শতাংশ। ইন্টারনেটের সুবিধা সবাই সমানভাবে পাচ্ছেন না। এ বৈষম্যের শিকার বেশি হচ্ছেন নারী ও নিম্ন আয়ের দেশের অধিবাসীরা। এছাড়া এ বৈষম্যের কারণে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছেন। এক বিবৃতিতে কমিশন জানায়, সবার কাছে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য এখনো অনেক কিছু করতে হবে।
আইটিইউর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ আয়ের দেশে ৯৩ শতাংশ, মধ্যম ও কম আয়ের দেশে ৫৫ শতাংশ ও স্বল্পোন্নত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩৫ শতাংশ।
গ্রুপো কারসোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট এবং কমিশনের কো চেয়ার কার্লোস স্লিম বলেন, ‘এআইয়ের ব্যবহার নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য, কম্পিউটিং সক্ষমতা এর ব্যবহার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলছে এবং নতুন পরিষেবা চালুতে সহায়তা করছে। জেনারেটিভ এআইয়ের দ্রুত বিকাশ মূল বিষয়ের পাশাপাশি নতুন কিছু উন্মোচনের ক্ষেত্রে এর সম্ভাব্যতাকে তুলে ধরে। এ প্রযুক্তির বিকাশে মেধাবীদের সন্ধান করার পাশাপাশি কর্মীদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে করে ডিজিটাল স্কিলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।’
কমিশনের কো-ভাইস চেয়ার ও আইটিইউর সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডরিন বোগদান মার্টিন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মোট অধিবাসীর একটি বড় অংশ এখনো ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছেন। আর এ কারণে প্রযুক্তিগত যে উদ্ভাবন রয়েছে, সেখান থেকে সুবিধা পাওয়ার জন্য ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এআইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশের অধিবাসীর কাছে কার্যকর সংযোগ ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।’
২০২৫ সালের জন্য ব্রডব্যান্ড কমিশন-এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে। যেখানে ব্রডব্যান্ড উন্নয়ন ও সর্বজনীন সংযোগ নিশ্চিতে সাতটি বিষয় নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিষয় হচ্ছে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইল ইন্টারনেটকে আরো সহজলভ্য করা।