Bangladesh

কৃষি পর্যটনের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে সিলেটের পতিত টিলা 

সিলেটের গোলাপগঞ্জে পতিত টিলায় আনারস আবাদ করে সুফল পাচ্ছেন বাগানমালিকেরা। আনারস ছাড়াও মাল্টা, কফি, কাজুবাদামের আবাদ হচ্ছে। পাশাপাশি গড়ে উঠছে কৃষি পর্যটন।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণভাগ চৌধুরীপাড়া গ্রামের আলভীনা গার্ডেনের টিলায় চাষ করা হয়েছে আনারস, কমলা, লেবু ও মাল্টার।

সারি সারি উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলা। ভাঁজে ভাঁজে আনারস, কমলা, মাল্টা আর লেবুগাছ। আছে কাজুবাদাম আর কফিগাছও। টিকিট কেটে মানুষজন ফলবাগানে ঢুকছেন, ঘুরছেন, দেখছেন। টিলায় বসে অনেকেই কিনে খাচ্ছেন টাটকা আনারস আর লেবুর জুস। কেউ কেউ কিনে ব্যাগ ভরে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতেও। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেল।

উপজেলার দত্তরাইল গ্রামে পাহাড়-টিলা ঘিরে কৃষি পর্যটন গড়ে উঠেছে। এসব টিলা আগে অনাবাদি ছিল। গত দুই বছরে দৃশ্যপট বদলে যায়। পতিত পাহাড়-টিলা ভরে গেছে আনারসের চারায়। এখন আনারস বিক্রি করেই কোনো কোনো চাষি বছরে কোটি টাকা আয় করছেন। এসব ফলবাগানের উদ্যোক্তাদের প্রায় সবাই প্রবাসী। 

যেভাবে শুরু

দত্তরাইল গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চান মিয়ার আট ছেলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। তাঁরাই প্রথম ২০১৮ সালে বাড়ির পাশের সাতটি টিলায় আনারস আবাদের উদ্যোগ নেন। আগে এসব টিলায় বেলজিয়াম ও আকাশিগাছ লাগানো হয়েছিল। সেগুলো কেটে সব টিলাকে ফল আবাদের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

প্রয়াত চেয়ারম্যানের ছেলেরা আনারসবাগানের নাম দেন ‘চান মিয়া পাইনআপেল গার্ডেন’। ৪০ একর জায়গায় বিস্তৃত বাগানে আড়াই লাখ আনারসগাছ আছে। মাল্টাগাছ আছে প্রায় ৪ হাজার। রয়েছে কলাগাছ ও লেবুগাছ। ২০২১ সালে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় রোপণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার কফি ও কাজুবাদামগাছ। দর্শনার্থীদের জন্য একটি টিলার চূড়ায় বানানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও ওয়াকওয়ে। বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকছেন। 

চান মিয়া পাইনআপেল গার্ডেন দেখভাল করেন চান মিয়ার নাতি কাউসার রাজা (৩৭)। তিনি জানান, বাগানের মূল উদ্যোক্তা তাঁর চাচা রাসেল আহমদ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আনারসবাগান দেখে তিনি টিলায় আনারসবাগান করার উদ্যোগ নেন। তাঁর কথায় পরিবারের সবাই সম্মতি দেন। এই বাগান চালুর পর উপজেলায় আরও বাগান হয়েছে। তবে উপজেলায় এটিই সবচেয়ে বড় আনারসবাগান। 

কাউসার রাজা বলেন, বাগান তৈরি করতে তাঁদের প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের সেই টাকা উঠে গেছে। তাঁরা চার দফায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রায় সোয়া কোটি টাকার আনারস বিক্রি করেছেন। এর বাইরে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার লেবু ও মাল্টা বিক্রি করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, একটা সময় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ‘জলঢুপি’ আনারসের সুখ্যাতি ছিল। এর বাইরে জেলার অন্যান্য উপজেলায় পাহাড়-টিলায় শৌখিনভাবে কিংবা পারিবারিক উদ্যোগে অল্প পরিসরে আনারস চাষ হতো। তবে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে গোলাপগঞ্জে চান মিয়া পাইনআপেল গার্ডেন চালু হয়। এই উদ্যোগ সফল হওয়ায় ২০২১ সাল থেকে উপজেলায় একই ধরনের ৪০টি বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন আরও অনেকে বাগান চালুর উদ্যোগ নিচ্ছেন। 

একাধিক বাগানের উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগ বাগানমালিকদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি নানাভাবে সহযোগিতা করছে। এমনকি আনারস ও মাল্টা ছাড়াও কৃষি বিভাগ টিলাগুলোর মাটি ও উৎপাদন ক্ষমতা পরীক্ষা করে এখানে কফি ও কাজুবাদাম গাছ রোপণের পরামর্শ দিয়েছে। তাদের পরামর্শে প্রায় প্রতিটি বাগানেই কফি ও কাজুবাদামগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, আগে কখনোই সিলেটে কফি ও কাজুবাদাম চাষ হয়নি।

সিলেটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান বলেন, গোলাপগঞ্জের টিলাগুলোতে আগে অপরিকল্পিতভাবে মাটির উপযোগী-অনুপযোগী নানা গাছপালা লাগানো হতো। এখন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। এতে কৃষকেরাও লাভবান হচ্ছেন। এখানকার উৎপাদিত আনারস সুমিষ্ট হওয়ায় বাজারেও এর আলাদা কদর রয়েছে।

আনিছুজ্জামান বলেন, সিলেটে চায়ের পর আর কোনো বিকল্প বাণিজ্যিক পণ্য পাহাড়-টিলায় উৎপাদন করা হয়নি। আনারস, কমলা, মাল্টা, লেবু, কফি ও কাজুবাদাম চাষের মধ্য দিয়ে বিকল্প বাণিজ্যিক ফলনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। গোলাপগঞ্জের এক বাগানমালিক তাঁর বাগানে উৎপাদিত কফি প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রির জন্য একটি কারখানা স্থাপনেরও উদ্যোগ নিয়েছেন। মূলত টিলায় চাষাবাদ শুরু হওয়ায় সিলেটে কৃষিক্ষেত্রে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, গোলাপগঞ্জে সফল হওয়ায় জেলার বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট সদরসহ অন্যান্য উপজেলার অনাবাদি টিলাও চাষাবাদের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এসব টিলায় আনারস, লেবু, কমলা, মাল্টা, কফি, কাজুবাদাম চাষের পাশাপাশি কাঁঠাল, লিচু, লটকন, আম, বেল, জামসহ বিভিন্ন জাতের ফলের আবাদ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

সরেজমিনে একদিন

গত ২৬ জুন গোলাপগঞ্জের কয়েকটি আনারসবাগান ঘুরে দেখা গেছে, ওপরে আকাশ আর নিচে সবুজের সমারোহ অন্য রকম এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। চওড়া ঢেউখেলানো পাতার ভেতরে উঁকি দিচ্ছে ছোট-বড় আনারস। মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। গাছে গাছে ঝুলছে আধা পাকা মাল্টা, লেবু। 

দক্ষিণভাগ চৌধুরীপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিনটি টিলার প্রায় ১৭ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘আলভীনা গার্ডেন’। ব্যক্তিমালিকানাধীন এসব টিলা ২০ বছরের জন্য ইজারা নেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. আবদুর রব। ২০২১ সালের মাঝামাঝি তিনি দৃষ্টিনন্দন এই আনারসবাগান গড়ে তোলেন।

আবদুর রব বলেন, তিনি প্রায় ৬০ লাখ টাকা খরচ করে বাগানটি তৈরি করেছেন। এখানে প্রায় ৯০ হাজার আনারসগাছ, ৭০০ মাল্টাগাছ, ১ হাজার ২৫০টি কফি ও কাজুবাদামগাছ, ২৫০টি কমলাগাছ এবং ৫০০ সিডলেস লেবুগাছ লাগিয়েছেন তাঁরা। এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ হাজার আনারস বিক্রি করেছেন। বাগানে আরও ৫০ হাজার আনারসগাছ রোপণের কাজ চলছে। 

আবদুর রবও তাঁর বাগানে দর্শনার্থীদের জন্য টিলার ফাঁকা অংশে তৈরি করেছেন দৃষ্টিনন্দন পার্ক। এখানে শিশু-কিশোরেরা নানা রাইডে চড়তে পারছে। পর্যটকদের জন্য রেস্তোরাঁ, বিশ্রামাগারসহ নানা সুবিধা আছে এখানে।

গোলাপগঞ্জের কয়েকজন মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পাইকারি বাজারেই আনারস বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। তবে বাগানে আসা দর্শনার্থীদের জন্য খুচরা কেনার সুযোগ আছে। প্রতি হালি বড় আনারস ৩০০ টাকা, মাঝারি আনারস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং ছোট আনারস ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়। পাশাপাশি বাগানে বেড়ানোর সময় আনারস কেটে খাওয়ার সুবিধাও আছে।

গড়ে উঠছে কৃষি পর্যটন

উদ্যোক্তারা বলছেন, দুটি বিষয় মাথায় রেখে তাঁরা বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রথমত, বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি করে আয় করা। দ্বিতীয়ত, বাগানের সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসা পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে বাড়তি আয় নিশ্চিত করা। পর্যটকদের নানা সুযোগ-সুবিধা থাকায় একেকটি বাগানে প্রতিদিন গড়ে কয়েক শ দর্শনার্থী আসেন। তাঁরা টিকিট কেটে বাগানে ঢুকে ঘুরে বেড়ান।

আলভীনা বাগানে কথা হয় দর্শনার্থী আছলিম মিয়ার (২৮) সঙ্গে। পেশায় রাজমিস্ত্রি আছলিমের বাড়ি পাশের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বাগমারা গ্রামে। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই তিনি গোলাপগঞ্জের আনারসবাগানের সৌন্দর্যের কথা শুনেছেন। যত দূর চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। এসব দেখতে তাঁর ভালোই লাগছে।

একাধিক বাগান ঘুরে দেখা গেছে, উঁচু-নিচু টিলায় সার বেঁধে আনারসের চাষাবাদ করা হয়েছে। উঁচু টিলায় উঠতে তৈরি করা হয়েছে
মাটির সরু সিঁড়ি। মেঠো পথ দিয়ে এক টিলা থেকে অন্য টিলায় ছুটে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। পর্যটকেরা ঘুরে ঘুরে বাগানের সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি ছবি তুলছেন। কিছু বাগানে স্থাপিত পার্কের রাইডে চড়ে শিশু-কিশোরেরা আনন্দ-উচ্ছ্বাস করছে। 

উপজেলার কদমরসুল গ্রামে ‘কফি গার্ডেন’ নামে ফলবাগান গড়ে তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুম আহমেদ। বাগানের তত্ত্বাবধায়ক আবু সুফিয়ান জানালেন, ছয়টি টিলার ৬০ একর জায়গাজুড়ে বাগান তৈরি করা হয়েছে। বাগানে ১ লাখ আনারসগাছ, ৭ হাজার কফি গাছসহ অন্তত ১০০ প্রজাতির ফলের গাছ আছে। রয়েছে একটি হ্রদ ও পুকুর। পুকুরে মাছ চাষ করা হয়। বাগানটি দেখতে প্রতিদিনই পর্যটকেরা ভিড় করছেন।

পাশে আছে কৃষি বিভাগ

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, সিলেটে অন্তত ৮০০ পাহাড়-টিলা রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশই পতিত বা অনাবাদি পড়ে আছে। যেসব টিলায় আবাদ হচ্ছে, সেটাও করা হচ্ছে অপরিকল্পিত ও বিক্ষিপ্তভাবে। অথচ এসব টিলা কমলাজাতীয় ফসল ও আনারস চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এমনকি এসব পাহাড়-টিলায় কফি ও কাজুবাদাম চাষ করেও লাভবান হওয়া সম্ভব। এসব বিবেচনায় নিয়ে কৃষি বিভাগ দেশ-বিদেশে বসবাসরদ টিলার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাঁদের নিজ নিজ টিলাগুলো আবাদযোগ্য করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অনেকে সাড়াও দিচ্ছেন। কৃষি বিভাগ আগ্রহীদের পরামর্শের পাশাপাশি নানাভাবে সহযোগিতা করছে। 

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, গত বছর জেলায় ১৯৩ হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টন আনারস। চলতি বছর ২০০ হেক্টর জমিতে আনারস আবাদ হয়েছে ও লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। এ ছাড়া চলতি বছর ২৯৩ হেক্টর জমিতে কমলা, ২১২ হেক্টর জমিতে মাল্টা, ৪০১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের লেবু, ১২৩ হেক্টর জমিতে জারা লেবু এবং ১০ হেক্টর জমিতে কফি ও কাজুবাদাম আবাদ হয়েছে। কফি ও কাজুবাদাম আগামী বছর থেকে সংগ্রহ করা যাবে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, টিলায় ফলের বাগান করায় একদিকে যেমন আয় বেড়েছে, অন্যদিকে এগুলো সংরক্ষিত হচ্ছে। এ ছাড়া টিলার সৌন্দর্য বেড়ে যাওয়ায় পর্যটনের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে ফলের চাহিদাও মেটানো যাচ্ছে। এ অঞ্চলে ফলের ঘাটতি মেটাতে সিলেটের অনাবাদি সব টিলা চাষাবাদের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। 

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার বলেন, যেকোনো ধরনের চাষাবাদের জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়। কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী টিলা/পাহাড় কাটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবার ২০১২ সালে বেলার একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত টিলাকে সংরক্ষণ করতে বলেছেন। সুতরাং ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়, এমন চাষাবাদ থেকে বিরত থাকাই উচিত। 

তবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ বোটানি অ্যান্ড টি প্রোডাকশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, লেবুজাতীয় ফসল কিংবা কফি ও কাজুবাদাম চাষে টিলাধস ও ভূমিক্ষয়ের কোনো শঙ্কা নেই। টিলায় চাষাবাদ প্রাণ ও প্রকৃতিবিরোধী নয়। টিলায় একবার বাগান ঠিকঠাক হয়ে গেলে, সেখানকার মাটি আরও দৃঢ় এবং মজবুত হয়। চা-বাগানগুলোও তা-ই। 

অধ্যাপক সাইফুল বলেন, টিলায় বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফসল পরিকল্পিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবেন। টিলায় কফি চাষের ফলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্রও বদলে যেতে পারে। পাশাপাশি কাজুবাদাম ও লেবুজাতীয় ফলন ব্যাপকভাবে করতে পারলে সিলেটের কৃষকেরা লাভের মুখ দেখবেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d