কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষ ও হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুজন, চট্টগ্রামে তিনজন ও রংপুরে একজন রয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরের পর ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা ও পুলিশের লাঠিপেটায় আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
যারা নিহত হয়েছেন
চট্টগ্রামে নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন মো. ফারুক (৩২) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ফারুক একটি আসবাবের দোকানের কর্মচারী এবং ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
রাজধানীর ঢাকা কলেজ এলাকায় নিহত দুজনের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মো. শাহজাহান (২৫)। সিটি কলেজের সামনে থেকে কে বা কারা তাকে উদ্ধার করে পাশের পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা পর একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক আলী মিয়া শাহজাহানকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শাহজাহান নিউমার্কেট এলাকার হকার ছিলেন।
রংপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত আবু সাঈদ (২২) ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন।